মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে উপর্যুপরি হত্যার হুমকি প্রদানের মামলায় ফ্লোরিডার পুলিশ নিভাইয়েন পেটিটট ফেল্প নামক এক নারীকে গ্রেফতার করেছে। ফ্লোরিডা সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট ফেডারেল কোর্টে দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ গ্রেফতারের তথ্য শুক্রবার জানানো হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, এ বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বেশ কবার হত্যা এবং শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার হুমকি দেন ওই নারী। এর ফলে ইউএস কোড সেকশন ৮৭১ এর ১৮ ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে। মার্চের ৩ তারিখে এফবিআইর স্পেশাল এজেন্ট ডেভিড ব্যালেঙ্গার জানতে পারেন, কমলা হ্যারিসকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। কম্পিউটারের মাধ্যমে এই হুমকি দেওয়া হয়। সেই ভিডিও সংগ্রহের পর এফবিআই তদন্তে নামে। ফেল্প তার স্বামীর কাছে প্রথমে হত্যার হুমকির বিস্তারিত বিবরণ পাঠিয়েছিলেন। পরে ভিডিও এক বার্তায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে তিনি খুবই ঘৃণা করেন এবং কোনোভাবেই সহ্য করতে পারছেন না বলে ক্ষুব্ধচিত্তে উল্লেখ করেন। সেই বার্তায়ই সুস্পষ্টভাবে কমলা হ্যারিসকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কমলা হ্যারিস, তুমি মরতে যাচ্ছ। তোমার মৃত্যুর দিন গণনা শুরু হয়েছে। আমি বন্দুক নিয়ে যাচ্ছি। সৃষ্টিকর্তার কসম, আজ হচ্ছে তোমার শেষ দিন। ৫০ দিন আগে থেকেই এ দিনের অপেক্ষায় ছিলাম।’ এদিকে নির্বিচার গুলিতে ১৫ এপ্রিল রাতে ইন্ডিয়ানাপলিস এয়ারপোর্টের কাছে ফেডএক্স ওয়্যারহাউসে নিহত আটজনের মধ্যে চারজনই ভারতীয় শিখ বলে জানিয়েছে পুলিশ। অর্থাৎ এশিয়ানবিদ্বেষী মনোভাবে এই বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অনেকের ধারণা। এর আগে মধ্য মার্চে আটলান্টায় তিনটি ম্যাসেজ পারলারে হামলা চালিয়ে চার এশিয়ানসহ আটজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ফেডএক্সের এই সর্বশেষ হামলাকারী আগে থেকেই পুলিশের নজরদারিতে ছিল এবং হামলাকারীর মা অনেক আগেই এমন আচরণের আশঙ্কায় পুলিশ ও ফেডএক্স কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিলেন। উল্লেখ্য, আত্মঘাতী এই হামলাকারীর নাম ব্র্যান্ডোন স্কট হোলে (১৯)। গত বছর সে এই স্থাপনার চাকরি ত্যাগ করে এক অজানা কারণে। অন্যদিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণকারী শিখ সম্প্রদায়ের সদস্যরা হলেন অমরজিৎ জোহাল (৬৬), জসিন্দর কাউর (৬৪), জসিন্দর সিংহ (৬৮), অমরজিৎ স্কন (৪৮)। অপর নিহতরা হলেন- ম্যাথিউ আলেক্সান্দার (৩২), সামারিয়া ব্ল্যাকওয়েল (১৯), কার্লি স্মিথ (১৯) ও জন উইস্ট (৭৪)। গুলিবিদ্ধ হয়ে সাতজনের মতো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তারা। পুলিশ আরও জানায়, কোনো কথা ছাড়াই স্থাপনার পার্কিং লট থেকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে হামলাকারী ভিতরে ঢুকে পড়ে। এরপর পুলিশি অভিযান শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে আত্মহত্যা করে। হামলার মোটিভ এখনো উদঘাটনে সক্ষম হয়নি ইন্ডিয়ানার পুলিশ।