যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির সহযোগী সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন কর্মকর্তারা ধারণা প্রকাশ করেছেন, যুদ্ধের প্রথম দুই সপ্তাহে পাঁচ থেকে ছয় হাজার রুশ সৈন্য মারা গেছেন। সাধারণ হিসেবে মৃত্যুর সংখ্যার তিন গুণ সংখ্যক মানুষ আহত হয়ে থাকে- এমন একটি ধারণা থেকে বলা হচ্ছে যে অন্তত ১৫ থেকে ১৮ হাজার রুশ সেনা আহত হয়েছেন।
তবে ইউক্রেন দাবি করেছে যুদ্ধে ১২ হাজার রুশ সৈন্য মারা গেছেন। যদিও গত সপ্তাহে রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেনে তাদের পাঁচ শরও কম সৈন্য মারা গেছে।
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এরই মধ্যে একের পর এক ইউক্রেনীয় শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে রাশিয়া। তবে থেমে নেই ইউক্রেন। ধারণার চেয়ে বেশি সফলতা দেখিয়েছে তারা। রুশ সেনাদের হামলা মোকাবিলা করছে তারা। দুই সপ্তাহেও রাজধানীতে ঢুকতে পারেনি রুশ সেনারা। এর মধ্যে দফায় দফায় চলছে শান্তি আলোচনা। যে কোনো মুহূর্তে শুরু হতে পারে যুদ্ধ বিরতি।
এর মধ্যেই ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ১২ হাজার রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ট্যাংক ও কামান ধ্বংস, যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে রাশিয়ার। ইউক্রেন সেনাবাহিনীর দাবি তারা প্রায় সাড়ে তিন শ ট্যাংক ধ্বংস করেছে। গতকাল দেশটির সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে দ্য কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্টস জানায়, গত ১৪ দিনে অন্তত ১২ হাজার রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ৩৩৫ রুশ ট্যাংক, ১ হাজার ১০৫ সাঁজোয়া গাড়ি, ১২৩ কামান, ২৯ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ৪৯টি যুদ্ধবিমান, ৮১ হেলিকপ্টার, ২টি জাহাজ, জ্বালানি পরিবহনকারী ট্যাংক ৬০ হাজার ৫২৬টি যানবাহন, ৮১টি হেলিকপ্টার ইতোমধ্যে ধ্বংস হয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনে রুশ হামলায় শিশুসহ কয়েক শ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। ইউক্রেনে রুশ হামলা আজ ১৬তম দিনে গড়িয়েছে। যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে আজই তুরস্কের আন্তালিয়া শহরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠক হতে যাচ্ছে।