বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

কদিন আগেও ছিল লোকালয় এখন সেখানে অথই পানি

পাকিস্তানে বন্যা

পাকিস্তানের পাঞ্জাবের রোজহান শহরের একটি উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, বন্যার জেরে প্রায় গোটা শহর কাদার তলায় চলে গেছে। মার্চের শেষ দিকে উপগ্রহ মানচিত্রে শহরের যে সব জায়গায় ঘরবাড়ি, গাছপালা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল, বন্যায় আজ তা প্রায় নিশ্চিহ্ন। ২০১০ সালেও এ ধরনের এক ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছিল পাকিস্তান। ২ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল সে বারের বন্যায়। তবে সরকারি পরিসংখ্যান জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত চলতি বন্যায় অন্তত ১ হাজার ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবারের বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি ডলার। সমস্যায় থাকা পাকিস্তানের অর্থনীতিকে চাপে ফেলে এই বন্যায় সে দেশের প্রতি সাত জনের মধ্যে এক জন ক্ষতিগ্রস্ত। পাকিস্তানের বন্যাকে ‘প্রবল সংকট’ আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনীয় গুতেরেসের মন্তব্য, ‘দুর্ভোগে ডুবে রয়েছে প্লাবিত পাকিস্তান। পাকিস্তানিরা স্টেরয়েডযুক্ত বর্ষার মুখে পড়েছেন। বৃষ্টি এবং বন্যার অবিরাম প্রভাব চলছে।’ পাকিস্তানের জন্য বিশ্বের কাছে ১৬ কোটি ডলারের অর্থসাহায্যের আবেদনও করেছেন তিনি। তিনি শিগগিরই পাকিস্তান সফরের ঘোষণা দিয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবই যে পাকিস্তানের বন্যার পেছনে অনেকাংশে দায়ী, তা মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। বন্যাকবলিত এলাকা থেকে বহু বাসিন্দার আশ্রয় হয়েছে পাকিস্তানের দক্ষিণ এবং পশ্চিম প্রান্তের জাতীয় সড়ক ও রেললাইনে।

বন্যায় আক্রান্ত বাসিন্দাদের অনেকের কাছে অধরা হয়ে গেছে নিত্যদিনের জিনিসপত্র। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে লাহোরের বাসিন্দা জুবেদা বিবি বলেন, ‘বন্যার জন্য জিনিসপত্রের দাম এতটাই চড়া যে আমাদের কিছুই কেনার ক্ষমতা নেই।’

এদিকে পাকিস্তান সরকারের আহ্বানে আন্তর্জাতিক স্তর থেকে সাড়া মিলেছে। সোমবার পাকিস্তানকে তড়িঘড়ি ১১০ কোটি ডলারের ঋণ মঞ্জুর করেছে আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থা আইএমএফ।

সর্বশেষ খবর