শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরার নির্দেশ দ. কোরিয়া ও জাপানের

উত্তর কোরিয়ার মিসাইল নিক্ষেপ

পরপর দুই দিন লাগাতার মিসাইল ছুড়ছে উত্তর কোরিয়া। সেজন্য সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সরকার। বুধবার লাগাতার মিসাইল উৎক্ষেপণের পর গতকালও হামলা চালায় উত্তর কোরিয়া।

কিছু দিন আগে আকাশপথে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা। ‘ভিজিল্যান্ট স্টর্ম’ নামে সেই মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছিল দুই দেশের কয়েক শ যুদ্ধবিমান। উদ্দেশ্য ছিল উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনকে চাপে রাখা। সেই সামরিক মহড়ার তীব্র প্রতিবাদ করেছিল পিয়ংইয়ং। যদিও তাতে কান দেয়নি সিওল ও ওয়াশিংটন। ফলশ্রুতিতে এ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ উত্তর কোরিয়ার। যার মধ্যে রয়েছে আন্তদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। গতকাল সেই ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের আকাশসীমার ওপর দিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। যার ফলে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসন তাদের সাধারণ নাগরিকদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। কোনো দেশের সীমানার মধ্যে না ঢুকলেও উত্তর কোরিয়ার মিসাইল নিয়ে উদ্বিগ্ন এ দুই দেশ।

 বুধবার মোট ১০টি মিসাইল ছুড়েছিল কিম জং উনের দেশ। তার মধ্যে একটি মিসাইল দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমার মধ্যে আছড়ে পড়ে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করে পাল্টা মিসাইল উৎক্ষেপণ করে দক্ষিণ কোরিয়া। গতকাল সকালে ফের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে পিয়ংইয়ং। এ ঘটনার পরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, ‘বারবার উত্তর কোরিয়া মিসাইল হামলা চালাচ্ছে। এ হামলা অত্যন্ত আপত্তিজনক। উত্তর কোরিয়াকে ক্ষমা করা যায় না।’ কিশিদা আরও বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে সম্ভবত একটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালাস্টিক মিসাইল ছিল।

আমেরিকার সঙ্গে যৌথভাবে মিসাইলের মহড়া চালাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। প্রতিবেশী দেশের লাগাতার মিসাইল উৎক্ষেপণের মধ্যে তৈরি থাকার বার্তা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনারা। তাদের তরফে বলা হয়েছে, ‘সম্পূর্ণভাবে তৈরি রয়েছি আমরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ মহড়ার পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার দিকে কড়া নজর রাখা উচিত।

সর্বশেষ খবর