অবশেষে মার্কিন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করল ডেমোক্র্যাটরা। মধ্যবর্তী নির্বাচন চলছে যুক্তরাষ্ট্রে। আর জর্জিয়ায় জয় পাওয়ায় মার্কিন সিনেটের ১০০ আসনের মধ্যে ৫১টি নিয়ে সামান্য আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করল ডেমোক্র্যাটরা। বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ৪৯ আসন। নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির হার্শেল ওয়াকারকে হারিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির রাফায়েল ওয়ারনক। সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় আইন পাসে সুবিধা পাবে ডেমোক্র্যাটরা।
গত নভেম্বর মাসে মধ্যবর্তী নির্বাচনে জর্জিয়ার ওই আসনে কেউ জয়ী হননি। বিজয়ী ব্যাপটিস্ট যাজক ওয়ারনকের সঙ্গে রিপাবলিকান প্রার্থী সাবেক আমেরিকান ফুটবল তারকা হার্শেল ওয়াকারের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। প্রায় ৯৯ শতাংশ ভোট গণনার পর প্রদর্শিত ফলাফলে দেখা গেছে ওয়ারনক অল্প ব্যবধানে জয় পেয়েছেন। এডিসন রিসার্চের ভাষ্য অনুযায়ী, ওয়ারনক পেয়েছেন ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট আর ওয়াকার ৪৯ দশমিক ২ শতাংশ। জয় নিশ্চিত হওয়ার পর রাফায়েল জানান, গণতন্ত্রে চারটি শব্দ উচ্চারণ করতে তার ভীষণ গর্ব হচ্ছে, সেই শব্দ চারটি হলো- ‘জনগণ তাদের রায় দিয়েছে’। তিনি আরও বলেন, ‘ভোট হলো সেই পৃথিবী নিশ্চিতের জন্য প্রার্থনা যা আমরা আমাদের ও আমাদের সন্তানদের জন্য চাই। জর্জিয়ানরা ঠোঁটে, পায়ে, হাতে, পায়ে, মাথা ও হৃদয় দিয়ে সেই প্রার্থনা করেছে’।
অন্যদিকে পরাজয় স্বীকার করে ওয়াকার বলেছেন, ‘আমি এখন কোনো অজুহাত দিতে যাচ্ছি না, কারণ আমাদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে।’ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওয়ারনককে ফোন দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন। রয়টার্স বলছে, ওয়াকারের এই পরাজয় ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের রিপাবলিকান মনোনয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য একটি বিপর্যয়। সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট চলতি বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ওয়াকারের পাশাপাশি আরও বহু হাই প্রোফাইল রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন কিন্তু সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসনগুলোতে তার সমর্থিত প্রার্থীরা মিশ্র ফল করেছেন। ৮ নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে জর্জিয়ার সিনেট আসনে ওয়ারনক বা ওয়াকার, কেউই সরাসরি জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন রান-অফে গড়িয়েছিল।