শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

যে কৌশলে ইউক্রেন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন জেলেনস্কি

যে কৌশলে ইউক্রেন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন জেলেনস্কি

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রায় ১০ মাস চলছে। যুদ্ধের মধ্যে এই প্রথম দেশের বাইরে গেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে তার এই ভ্রমণ সহজ ছিল না। নানা কৌশল করে তাকে ওয়াশিংটনে পৌঁছাতে হয়েছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মঙ্গলবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধের  সম্মুখভাগ  পরিদর্শনে  যান জেলেনস্কি। এরপর সেখান থেকেই ওয়াশিংটনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন তিনি। রাতভর ট্রেন যাত্রা শেষে পোল্যান্ড পৌঁছান তিনি। সেখানে মার্কিন বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজে চড়েন জেলেনস্কি।

উড়োজাহাজটির নিরাপত্তায় ছিল ন্যাটোর একটি গোয়েন্দা উড়োজাহাজ ও একটি এফ-১৫ যুদ্ধবিমান।

শান্তিকালীন সময়েও যে কোনো প্রেসিডেন্টের সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু একজন যুদ্ধকালীন নেতার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ঝুঁকিটা বেশিই থাকে।

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির ফলে ইউক্রেনের আকাশসীমায় উড়োজাহাজে যাত্রা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ কারণে জেলেনস্কি ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডে গোপনে ট্রেনে যাত্রা করেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার ভোরে তাকে পোল্যান্ডের সীমান্তবর্তী শহর প্রজেমিসলের একটি রেলস্টেশনে দেখা যায়। অনেক পশ্চিমা নেতা ও কর্মকর্তা কিয়েভে জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ট্রেনে চড়েই গিয়েছিলেন।

জেলেনস্কির এই সফরের বিষয়টি চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে চাউর হয়। তবে গত বুধবার ভোরের আগ পর্যন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। ততক্ষণে মার্কিন কর্মকর্তারা নিশ্চিত হতে পেরেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নিরাপদে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীর পথে রয়েছেন।

রুশ ক্ষেপণাস্ত্র এড়াতে ট্রেন-যাত্রা : রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির ফলে ইউক্রেনের আকাশসীমায় উড়োজাহাজে যাত্রা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই জেলেনস্কি ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডে গোপনে ট্রেনে যাত্রা করেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার ভোরে তাঁকে পোল্যান্ডের সীমান্তবর্তী শহর প্রজেমিসলের একটি রেলস্টেশনে দেখা যায়। পোলিশ টিভিতে সম্প্রচার করা একাধিক ছবিতে দেখা যায়, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি প্ল্যাটফরম ধরে হাঁটছেন জেলেনস্কি। মার্কিন বিমানবাহিনীর একটি বোয়িং সি-৪০বি উড়োজাহাজ রজেসজো বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করছে। এটি উত্তর সাগরের আকাশসীমায় প্রবেশের আগে ওই এলাকার নিরাপত্তা খতিয়ে দেখে ন্যাটোর একটি গোয়েন্দা বিমান।

 উত্তরে সাগর রাশিয়ার সাবমেরিনের টহলের জন্য পরিচিত। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের একটি এফ-১৫ যুদ্ধবিমান ইংল্যান্ডের ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। জেলেনস্কির যাত্রার অংশ হিসেবে উড়োজাহাজটিকে নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যায় যুদ্ধবিমানটি। শেষ নাগাদ ওয়াশিংটনের সময় দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীর কাছেই জেলেনস্কিকে বহনকারী উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের প্রায় ১০ ঘণ্টা পর অবতরণ করে। অবশ্য জেলেনস্কির পুরো যাত্রার সময়টা আরও অনেক বেশি। ওয়াশিংটন পৌঁছালে জেলেনস্কিকে নিরাপত্তা দেয় সিক্রেট সার্ভিস। বৃহস্পতিবার ইউরোপে ফিরেছেন তিনি।

সর্বশেষ খবর