শনিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
তিন দিনে ১১ বার ভোট

স্পিকারই নির্বাচন করতে পারছে না রিপাবলিকানরা

ধারণা করা হচ্ছিল, কেভিন ম্যাকার্থিই হবেন রিপাবলিকান দলের স্পিকার। কিন্তু প্রয়োজনীয় ২১৮ ভোট পাচ্ছেন না তিনি

টানা তিন দিনে মোট ১১ বার ভোট হয়েছে। তারপরও যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ স্পিকার নির্বাচন করতে পারেনি। ১৮৬০ সালে প্রাক-গৃহযুদ্ধ যুগের পর স্পিকার নির্বাচনে এমন অচলাবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে আর দেখা যায়নি। সেই বছর প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার নির্বাচনে মোট ৪৪ দফা ভোট হয়েছিল। এই ভোটের মধ্য দিয়ে রিপাবলিকান দলের মধ্যে থাকা মধ্যপন্থি এবং ডানপন্থিদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ধারণা করা হচ্ছিল, কেভিন ম্যাকার্থিই হবেন রিপাবলিকান দলের স্পিকার। কিন্তু প্রয়োজনীয় ২১৮ ভোট পাচ্ছেন না তিনি। যদিও তার দল রিপাবলিকান পার্টির আসনসংখ্যা ২২২টি। কিন্তু এর মধ্যে ২০ জন জানিয়ে দিয়েছেন, তারা ম্যাকার্থিকে ভোট দেবেন না।  সর্বশেষ যখন এমন অবস্থা হয়েছিল, তখন দাস প্রথার মতো গুরুতর ইস্যু নিয়ে বিভেদ ছিল আইনপ্রনেতাদের মধ্যে। এবার যদিও তেমন কিছুই নেই।

ম্যাকার্থির বিরুদ্ধে ওই আইনপ্রনেতাদের অভিযোগ, তার কর্মকান্ডে তাকে আর বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছিল ২০২৩ সাল এলেই হাউসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবে রিপাবলিকান দল। এতক্ষণে জয়োৎসব পালন হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, নিজ দলের মধ্যেই ঐক্য নেই। এদিকে স্পিকার নির্বাচন করতে ব্যর্থতার কারণে নতুন এমপিরা শপথ নিতে পারছেন না এবং কোনো বিলও পাস করা যাচ্ছে না। ম্যাকার্থি অবশ্য বিদ্রোহী রিপাবলিকানদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কমিটির সদস্য করাসহ বেশকিছু ছাড় এবং কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু বিদ্রোহীরা তাদের বক্তব্যে অনড়। বিদ্রোহীদের মধ্যে একজন সাউথ ক্যারোলাইনার রাল্ফ নরম্যান। বিবিসিকে নরম্যান বলেন, ম্যাকার্থির ওপর তার আস্থা নেই। তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমাদের কমিটি থেকে ছুড়ে ফেলা হবে। আমাদের যা কিছু সুযোগ-সুবিধা আছে তা কেড়ে নেওয়া হবে।’ নরম্যান বিবিসিকে বলেছেন, তিনি ম্যাকার্থিকে বিশ্বাসই করেন না। তাই তারা তাদের বিশ্বাসভাজন কোনো নেতাকেই স্পিকার পদে চাইছেন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হচ্ছেন, প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের পরে সবেচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। স্পিকার প্রতিনিধি পরিষদের আলোচ্য বিষয় নির্ধারণ করেন এবং স্পিকারকে ছাড়া সেখানে আইন প্রণয়নের কোনো কার্যক্রমও চলতে পারে না।

সর্বশেষ খবর