শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফের কমান্ডার পরিবর্তন পুতিনের

ফের কমান্ডার পরিবর্তন পুতিনের

সের্গেই সুরোভিকিন

গত অক্টোবরে রুশ সেনাবাহিনীর ‘কঠোরতম জেনারেল’ হিসেবে পরিচিত সের্গেই সুরোভিকিনের হাতে ইউক্রেন যুদ্ধের দায়িত্ব দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তবে তিন মাসের মধ্যে তাকে পরিবর্তন করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। এখন এ যুদ্ধে রাশিয়ার নেতৃত্ব দেবেন চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় একের পর এক সামরিক পরাজয়ের পর পূর্ব ইউক্রেনে অগ্রগতি ঘটছে বলে রাশিয়া দাবি করে, তার পরপরই এ রদবদল ঘটল। জেনারেল গেরাসিমভ, ২০১২ সাল থেকে রাশিয়ান চিফ অব জেনারেল স্টাফ পদে রয়েছেন। বলা হয়, তিনি সোভিয়েত-পরবর্তী যুগের রাশিয়ান চিফ অব জেনারেল স্টাফদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। জেনারেল সুরোভিকিন- এখন তার ডেপুটি। সিরিয়ায় রাশিয়ার অভিযান এবং বিশেষ করে আলেপ্পো শহরে ভারী বোমাবর্ষণসহ পূর্ববর্তী যুদ্ধগুলোয় তার নৃশংস কৌশলের জন্য জেনারেল সুরোভিকিন ‘জেনারেল আর্মাগেডন’ নামেও অভিহিত করা হয়েছে। অক্টোবরে অভিযানের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই, রাশিয়া ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো ধ্বংস করার জন্য প্রচারণা শুরু করে। এতে লাখ লাখ ইউক্রেনীয় নাগরিককে কনকনে শীতের মধ্যে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎহীন এবং কলের পানি ছাড়া ছিল। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে যে, জেনারেল সুরোভিকিনকে প্রতিস্থাপনের উদ্দেশ্য ছিল ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন শাখার মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা এবং রুশ বাহিনীকে ব্যবস্থাপনার মান ও কার্যকারিতা উন্নত করা।’ কিন্তু এ পদক্ষেপের ফলে তিনি হয়তো আরও বেশি ক্ষমতা অর্জন করেছেন বলে কেউ কেউ ধারণা করছেন। সামরিক বিশ্লেষক রব লি টুইটারে লিখেছেন, ‘ইউক্রেনের ইউনিফাইড কমান্ডার হিসেবে, সুরোভিকিন খুব শক্তিশালী হয়ে উঠছিলেন এবং পুতিনের সঙ্গে কথা বলার সময় সম্ভবত শোইগু (রাশিয়ান প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই) এবং গেরাসিমভকে উপেক্ষা করছিলেন।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, রাশিয়ার বেসরকারি সামরিক প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন পূর্ব ইউক্রেনের খনি শহর সোলেদারে পুরোটা তার বাহিনী দখল করে নিয়েছে এবং তীব্র লড়াইয়ে প্রায় ৫০০ ইউক্রেনীয় সেনা হত্যা করেছে এমন দাবি করার মধ্যেই রাশিয়া ওই নির্দেশ দেয়। এ লবণ খনির শহরটির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে রাশিয়া কাঠখড় পোড়াচ্ছে। এ শহরটির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারলে তা আগাস্টের পর রাশিয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে। কারণ ওই সময়ের পর থেকে পূর্বে ও দক্ষিণে ইউক্রেইনের পাল্টা আক্রমণে ধারাবাহিকভাবে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল রুশ বাহিনীগুলো।

সর্বশেষ খবর