বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

এসসিও সামিটে পাকিস্তানকে ভারতের আমন্ত্রণ

সম্পর্কের বরফ গলবে!

এসসিও সামিটে পাকিস্তানকে ভারতের আমন্ত্রণ

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোকে আমন্ত্রণ জানাল ভারত। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) চেয়ার হিসেবে ভারত পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়ালকে বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে দিল্লি। তবে পাকিস্তান এখনো ভারতের আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্রধারী চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুটি দেশের মধ্যে সম্প্রতি সম্পর্কের যে বরফ জমেছে, তা গলতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। আগামী মে মাসে ভারতের গোয়া’য় ওই সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের মতে, বিলাওয়ালের কাছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণ ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ওই আমন্ত্রণপত্রে যে তারিখ উল্লেখ আছে তা ৪ মে এবং ৫ মে। যদি ভারতের এই আমন্ত্রণ বিলাওয়াল গ্রহণ করেন তাহলে প্রায় ১২ বছরের মধ্যে প্রথম পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি ভারত সফরে আসতে পারেন। সর্বশেষ ২০১১ সালে ভারত সফরে এসেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার।

তবে এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ সব অনিষ্পন্ন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে ভারতের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। এর মধ্যে থাকবে ভারত দখলীকৃত জম্মু-কাশ্মীর। তিনি আরও পরিষ্কার করেছেন, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট এক তরফাভাবে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে ভারত। কাশ্মীরকে আগের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে। তাছাড়া ভারতের সঙ্গে কোনো আলোচনা হতে পারে না।

পাকিস্তান, চীন, ভারত, রাশিয়া ও কিরগিজস্তানের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এসসিও। মধ্য এশিয়ার দেশ কিরগিজস্তান, কাজাখস্থান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের সঙ্গে সম্প্রতি কূটনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করেছে পাকিস্তান। মধ্য এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গে চীন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদেরও আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে। ইরান এই সংস্থার নতুন সদস্য। কূটনৈতিক মহলের অনুমান, গোয়ার ওই সম্মেলনে যদি আমন্ত্রিত সবাই আসেন তা হলে তা দক্ষিণ এশিয়ার রণনীতিতে একটি মাইলফলক ঘটনা হতে চলেছে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনটি যুদ্ধ করেছে পাকিস্তান ও ভারত। এসব যুদ্ধের মূল কারণ জম্মু-কাশ্মীর। সর্বশেষ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক চরম খারাপ হয় ২০১৯ সালে। ওই সময় ভারত কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে।

সর্বশেষ খবর