দিন যত আসছে গরম ততই বাড়ছে। তার প্রভাবও দেখতে পাচ্ছে বিশ্ব। আমেরিকা, ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশের অনেক দেশ গেল বছর ভয়ংকর দাবানল দেখেছে সঙ্গে গরমের কারণে সৃষ্ট ঝড়। আর এটার কারণ এল নিনো। তবে মার্কিন জলবায়ু পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, আসছে বছর আরও ভয়ংকর উষ্ণতা অপেক্ষা করছে। যেটাকে সুপার এল নিনোর প্রভাব বলা হচ্ছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘সুপার এল নিনোর’ প্রভাব আগামী বছর পুরো উত্তর গোলার্ধে দেখা যেতে পারে। সংস্থার মতে, ৭৫-৮৫ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে যে, এই এল নিনো খুব শক্তিশালী হবে। জানিয়েছে, এই সুপার এল নিনোর কারণে গোটা বিশ্বের আবহাওয়ার ধরন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সব ধরনের বিপর্যয়ও ঘটতে পারে।
এই এল নিনোর কারণে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলে ৩০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। যার কারণে প্রচ- গরম পড়বে। এ ছাড়া খরা, বন্যার মতো দুর্যোগও হতে পারে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, এমন এল নিনো এসেছিল আট বছর আগে। ১৯৯৭-১৯৯৮ এবং ২০১৫-২০১৬ সুপার এল নিনোর প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছিল। তখনো তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছিল এবং অনেক দেশে খরা-বন্যার সমস্যা দেখা গিয়েছিল। দ্য ওয়েদার চ্যানেল-এর মতে, এল নিনোর পরে, দীর্ঘমেয়াদে বৃষ্টিপাত এবং সম্ভবত শীতের তাপমাত্রাও প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই এল নিনোর (সুপার এল নিনোর) প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতি ও কৃষিতে দৃশ্যমান হবে।
অনেক দেশে ফসল উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব দেখা যেতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রাজিলের মতো দেশগুলো সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হতে পারে, যেখানে তাপমাত্রা ইতোমধ্যেই গরম।