বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ভারতে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনায় তিনটি কাশির সিরাপের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, গত এক মাসে এসব সিরাপ সেবনের পর বেশ কয়েকজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দূষিত সিরাপ হলো- স্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালসের কোল্ডরিফ, রেডনেক্স ফার্মাসিউটিক্যালসের রেসপিফ্রেশ টিআর এবং শেপ ফার্মার রিলাইফ। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সিরাপগুলোতে ডাইইথিলিন গ্লাইকল নামের এক বিষাক্ত রাসায়নিকের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। এই রাসায়নিক শিশুদের ক্ষেত্রে কিডনি বিকল হওয়াসহ মারাত্মক শারীরিক জটিলতা ও মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ভারতের মধ্যপ্রদেশে ১৯ জন শিশু কোল্ডরিফ সিরাপ সেবনের পর মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ভারতের ওষুধ তদারক কর্তৃপক্ষ সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন ডব্লিউএইচও-কে জানিয়েছে, এই কফ সিরাপ পানে সম্প্রতি যে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের সবার বয়স পাঁচ বছরের কম।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এসব ওষুধ রপ্তানি করা হয়নি এবং বিষাক্ত পণ্যগুলো বাজার থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এটি প্রথম নয়, ভারতে তৈরি কাশির সিরাপে এর আগেও বিষাক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
২০২৩ সালে ভারতের তৈরি কিছু সিরাপ উজবেকিস্তান ও গাম্বিয়ায় পাঠানো হয়েছিল, যেখানে ডজনখানেক শিশু মারা যায়। ২০২২ সালেও মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস-এর উৎপাদিত সিরাপে বিষাক্ত উপাদান শনাক্ত হওয়ার পর উৎপাদন বন্ধ করা হয়। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এ ঘটনার পর থেকে তারা ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে উৎপাদিত সব তরল ওষুধের সরবরাহ চেইন কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে বলেছে।