মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার সমাধান খুঁজতে যখন বিশ্বের নেতারা একত্র হন, তখন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান তার দীর্ঘদিনের ধূমপানবিরোধী অভিযানের নতুন লক্ষ্য খুঁজে পেলেন। মিসরে গাজা যুদ্ধ বন্ধে আয়োজিত শান্তি সম্মেলনের ফাঁকে এক অনানুষ্ঠানিক আলাপচারিতায় বলেছেন, তিনি মেলোনির ধূমপানের অভ্যাস ছাড়াতে চান।
তুরস্কের বার্তা সংস্থা ইহলাসের এক ভিডিওফুটেজে মেলোনির উদ্দেশে এরদোগানকে বলতে শোনা যায়-‘আমি দেখলাম, আপনি উড়োজাহাজ থেকে নামছেন। আপনাকে দারুণ দেখাচ্ছিল। কিন্তু আপনার ধূমপানের অভ্যাসটা আমাকে ছাড়াতে হবে।’ এরদোগান ও মেলোনি যখন কথা বলছিলেন তখন তাঁদের ঠিক পাশে দাঁড়ানো ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এরদোগানের কথা শুনে মাক্রোঁ হেসে বলে ওঠেন, ‘এটা অসম্ভব।’ মেলোনি তখন বলেন, ‘আমি জানি, আমি জানি। আমি কারও ক্ষতি করতে চাই না।’
এর আগে ইতালির প্রধানমন্ত্রী তাঁর সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে লেখা একটি বইয়ে বলেছিলেন, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদসহ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ধূমপানের বিষয়টি তাঁর জন্য সহায়ক হয়।
এরদোগান তুরস্ককে ধূমপানমুক্ত দেশ বানানোর অঙ্গীকার করেছেন। দেশজুড়ে ‘ধূমপানমুক্ত তুরস্ক’ নামের একটি প্রচারাভিযান চলছে। ধূমপানবিরোধী সচেতনতা গড়ে তোলা, ধূমপান ছাড়ার জন্য সহযোগিতা করা, ধূমপান থেকে তরুণদের বিরত রাখতে ২০২৪ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত একটি কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে আঙ্কারা।
মেলোনি ও এরদোগান অংশ নিয়েছিলেন মিসরের রেড সি উপকূলীয় শহর শারম এল-শেখে অনুষ্ঠিত গাজা শান্তি সম্মেলনে, যার উদ্দেশ্য ছিল গাজায় যুদ্ধবিরতি বজায় রাখা, ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের অবসান ঘটানো এবং ধ্বংসস্তূপে পরিণত ফিলিস্তিনের পুনর্গঠনের দীর্ঘমেয়াদি রূপরেখা নির্ধারণ। সম্মেলনটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধ-সমাপ্তির প্রস্তাবের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়ার একটি উদ্যোগ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।