যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের হস্তক্ষেপে গাজায় যুদ্ধবিরতি চলছে। সে অনুযায়ী বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে আরও ৩০ ফিলিস্তিনির লাশ ফেরত দিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল লাশগুলো গাজার খান ইউনিসের আল নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে পৌঁছে দিয়েছে রেডক্রস। খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েলের পাঠানো ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দির লাশ গ্রহণ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে দুই ইসরায়েলি জিম্মির লাশ ফেরত পাঠায় হামাস। চুক্তি অনুযায়ী একজন জিম্মির লাশ দিলে ১৫ লাশ ফেরত দেবে ইসরায়েল। সে অনুযায়ী ৩০ ফিলিস্তিনির নিথরদেহ পাঠিয়েছে তারা। এ স্থানান্তরের ফলে গাজায় ফেরত পাঠানোর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৫ জনে। এদিকে হামাস মৃত জিম্মিদের লাশ যেসব জায়গায় লুকিয়ে রেখেছিল, সেগুলো কয়েকটি ধ্বংসস্তূপের নিচের চাপা পড়েছে। এগুলো উদ্ধার করতে বেশ কিছুদিন সময় লাগতে পারে। এদিকে সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদানের প্রতিবাদে ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। সেনাবাহিনীতে এমন সেবা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবিতে প্রায় ২ লাখ কট্টর রক্ষণশীল (আল্ট্রা অর্থোডক্স) ইহুদি এ বিক্ষোভে অংশ নেন। বৃহস্পতিবার এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। -আরব নিউজ, টাইমস অব ইসরায়েল
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, বিক্ষোভকারীরা শহরের প্রায় সব প্রবেশপথ অবরোধ করেন। ‘মার্চ অব দ্য মিলিয়ন’ নামে পরিচিত এ বিশাল সমাবেশে হাড়েদি (অতি রক্ষণশীল ইহুদি) সম্প্রদায়ের প্রায় সব উপগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ ছিল।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, প্রায় ২ লাখ পুরুষ এ বিক্ষোভে যোগ দেন, যারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে (আইডিএফ) যোগদানের বিরোধিতা করেন। ২০১৪ সালের পর এই প্রথমবার হাড়েদি সম্প্রদায়ের সব শাখা একত্রে এমন বিক্ষোভে অংশ নিল। বিক্ষোভকারীরা ঐতিহ্যবাহী কালো পোশাক ও টুপি পরে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়।