চাঁদাবাজি এক ধরনের ডাকাতি। মানুষের ওপর এক ধরনের জরিমানা নির্ধারণ করা হয়। চাঁদা আদায়কারী, লেখক ও গ্রহণকারী গুনাহে সমানভাবে শামিল। এরা সবাই হারাম ভক্ষণকারী।
চাঁদাবাজ কেবল অবিচারকারীর বড় সহযোগী নয়, বরং সে জুলুমকারী ও অত্যাচারী। আল্লাহ বলেন, ‘ব্যবস্থা নেওয়া হবে শুধু তাদের বিরুদ্ধে, যারা মানুষের ওপর অত্যাচার চালায় এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’
(সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ৪২)
নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা কি জানো প্রকৃত দরিদ্র কে আমার উম্মতের মধ্যে? প্রকৃত দরিদ্র ওই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন বহু সালাত, সাওম ও জাকাত নিয়ে উপস্থিত হবে।
তবে সে দুনিয়ায় কাউকে হত্যা করেছে, মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, করেছে, কাউকে গাল-মন্দ করেছে, কারো সম্পদ আত্মসাৎ করেছে, কাউকে মেরেছে অথবা কাউকে প্রহার করেছে—কিয়ামতের দিন এ ব্যক্তির নেক আমল বা সওয়াব তাদের (তার দ্বারা যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে) দেওয়া হবে। যদি তার নেক আমলের সওয়াব পাওনাদারদের পাওনা পরিশোধ করার আগেই শেষ হয়ে যায় তখন তাদের গুনাহগুলো তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে এবং তার পর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৭৬৮৬)
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন