বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গের আলোচিত নাম। সেখানকার রাজনীতিক কলকাতার সাবেক মেয়র শোভন চট্টপাধ্যায়ের সঙ্গে তাকে জড়িয়ে নানা কথাই শোনা যায়। সম্প্রতি সেসব গুঞ্জনে ঘি ঢালেন বৈশাখী নিজেই। নিজের নামের সঙ্গে শোভনের নাম লাগিয়ে। সেই সঙ্গে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দিয়ে জানান- কেউ যখন তাকে বৈশাখী শোভন বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেসবুক প্রোফাইলে নিজের নামের সঙ্গে শোভনের নাম জুড়িয়ে দিতেই যাবতীয় সম্পত্তি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখে দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এরপর ঘটনার পর শোভনের স্ত্রীর সঙ্গেও ঝামেলায় জড়াতে হয় তাকে।
আবারও আলোচনায় আসলেন বৈশাখী। এবার বিবাহবিচ্ছেদ চাইলেন স্বামী মনোজিৎ মণ্ডলের কাছে। এক্ষেত্রে তিনি অভিযোগ তুলেছেন মনোজিৎ অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। আর এই কারণেই নাকি তিনি বিবাহবিচ্ছেদ চান।
বৈশাখীর দাবি, গত বেশ কয়েক বছর ধরে অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন স্বামী মনোজিৎ মণ্ডল। এই পরিস্থিতিতে বিবাহবিচ্ছেদ চান তিনি।
বৈশাখীর জানিয়েছেন, মনোজিৎ যে অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন সে কথা তিনি নিজেই তাকে জানিয়েছেন। তারা একসঙ্গে বাইরে ঘুরতে গিয়েছেন বলেও মনোজিৎ তাকে জানিয়েছেন বলে দাবি বৈশাখীর। নতুন করে জীবন শুরু করতে চান তার স্বামী। এরপরই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন বৈশাখী।
অন্যদিকে, বৈশাখীর স্বামী মনোজিতের দাবি, “মনের দিক থেকে যখন আলাদা হয়েছি, তখনই বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে।”
তার প্রশ্ন, “আমার জীবনে বৈশাখী আছেন কোথায়? আমি কার সঙ্গে থাকব সেটা তো বৈশাখী ঠিক করে দিতে পারেন না।”
তবে কি তিনি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ে করবেন? জবাবে বৈশাখী বলেন, “বিয়ে হবে কি না তা সময়ই বলবে।”
তার কথায়, “শোভনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক স্বপ্নের মতো। একটা সুন্দর স্বপ্ন যেমন হয়, আমার প্রতিটা দিন তেমন কাটে।”
একটি টিভি চ্যানেলকে মনোজিৎ জানিয়েছেন, গত তিন বছর ধরে তিনি আর বৈশাখী একসঙ্গে থাকেন না। তারা স্বেচ্ছায় আলাদা হচ্ছেন এমন লিখিত বয়ানও আছে— দাবি মনোজিতের। তার বক্তব্য, তিনি একা থাকবেন নাকি অন্য কারও সঙ্গে থাকবেন, তা একান্তই তার সিদ্ধান্ত।
অন্যদিকে বৈশাখীর দাবি, কোনও সম্পর্কেই জোর করে আটকে রাখায় তিনি বিশ্বাস করেন না। শোভনের সঙ্গে সম্পর্ক শুরুর সময় তিনি মনোজিৎকে সবটা জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি বৈশাখীর দাবি, বর্তমানে একজন নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন মনোজিৎ। তাদের দ্রুত বিয়ে করে ফেলা বা একসঙ্গে থাকা উচিত বলেও মনে করেন তিনি। কারণ অন্যরা তাকে এসে বলছেন, “তোমার স্বামী অন্য নারীর সঙ্গে ঘুরছেন।”
বৈশাখী মনে করেন শারীরিকভাবে অসুস্থ মনোজিৎকে এর থেকে মুক্তি দেওয়া দরকার। এই প্রসঙ্গে মনোজিতের জবাব, “এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার।” বৈশাখীকে খাতায়কলমে স্ত্রী বলেও দাবি করেছেন মনোজিৎ।
বৈশাখী জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে তিনি মনোজিতের থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চান। সেই অনুযায়ী আইনজীবীর সঙ্গে কথাও হয়েছে। তার সন্তানের পিতা হিসেবে মনোজিৎ স্বীকৃতি পাবেন।
১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে থেকেছেন বৈশাখী ও মনোজিৎ। মনোজিৎ পেশায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তৃণমূলের সঙ্গেও তার যোগাযোগ রয়েছে। অন্যদিকে, কলেজে অধ্যাপনা করলেও আপাতত সেই চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন বৈশাখী।
বিডি প্রতিদিন/কালাম
