পশ্চিমবঙ্গে একুশের বিধানসভার নির্বাচনী প্রচারণার কাজে লাগানো হয়েছিল পিকে হালদারের আত্মসাৎ করা রুপি। বাংলাদেশের এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর (ইডি) কর্মকর্তারা। সূত্রে খবর ওই রুপি খাটানো হয়েছিল অশোকনগরসহ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বেশকিছু বিধানসভা এলাকার নির্বাচনী প্রচারণার কাজে। পি কে হালদারের কাছে ওই রুপি কোথা থেকে এলো তারই উৎস জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
শুধু তাই নয় ইডি সূত্রে খবর, পিকে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম পেয়েছে ইডি, যে তালিকায় রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের এক মন্ত্রী। এও জানা যাচ্ছে, খুব শিগগিরই সেই মন্ত্রীকে ডেকে জিজ্ঞাসা চালাতে পারে ইডি।
প্রথম দফায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে ১৭ মে আদালতে তোলা হলে অভিযুক্ত শর্মি হালদারকে ১০ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন আদালত। বাকি পাঁচ অভিযুক্তকে ১০ দিনের রিমান্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।
১০ দিনের রিমান্ড শেষে আগামী ২৭ মে (শুক্রবার) ফের কলকাতার নগর দায়রা আদালতে ‘স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-১’ এ তোলা হবে পি কে হালদারসহ ছয়জন অভিযুক্তকে। ওইদিন আদালতের কাছে ফের রিমান্ডের জন্য অবদান করতে পারে ইডি। কারণ, পি. কে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কিছু তথ্য হাতে পেতে চাইছে ইডি।
পি কে হালদারকে জেরা করে ইতোমধ্যেই তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। যে অর্থের পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রায় ১৫০ কোটি রুপির বেশি। এমনকি বেশকিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইসও উদ্ধার করা হয়। সূত্রে খবর, ৮১টি ইলেকট্রনিক গ্যাজেট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩০টি খোলা হয়েছে, যেখানে ইডির হাতে উঠেছে একাধিক তথ্য। সেগুলো তদন্ত করে খতিয়ে দেখছে ইডির কর্মকর্তারা। আর সেই কারণেই ফের রিমান্ডের আবেদন জানাতে পারে ইডি।
এটি সূত্রে জানা গেছে, এই তদন্ত শেষ হলে ভারতের আরেকটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তদন্তের ভার নিতে পারে। তাহলে নতুন মোড় নিতে পারে এই তদন্ত।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ