একপাশে অভিনেতা সাইমন সাদিক, অন্যপাশে পরিচালক বন্ধন বিশ্বাস- দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে 'লাল শাড়ি' দেখলেন ঢালিউড অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। কলকাতায় অনুষ্ঠিত ৫ম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের দ্বিতীয় দিন। রবিবার নন্দন-১ প্রেক্ষাগৃহে বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে লাল শাড়ি ছবিটি দেখানো হয়। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো সিনেমাটাই দর্শকাসনে বসে দেখেন অপু। তার পরনে ছিল সেই লাল শাড়ি। গোটা শাড়িজুড়েই বড় বড় হরফে লেখা 'লাল শাড়ি'।
ছবি দেখার আগে সেই শাড়ি পরেই চিত্র গ্রাহকদের অনুরোধে পোজ দিতেও দেখা যায় অপুকে। এর আগে নন্দন চত্বরে সিনেমাপ্রেমী মানুষদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন। পরে সাইমন সাদিককে নিয়েই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন অপু।
সরকারি অনুদান প্রাপ্ত 'লাল শাড়ি' সিনেমার নামকরণ নিয়ে অভিনেত্রী জানান, 'বাঙালি নারীর প্রধান পোশাক শাড়ি ও তার কারিগরদের গল্প নিয়ে এই সিনেমার কাহিনী। প্রথমে সিনেমাটির নাম 'শাড়ি' ছিল, পরে সেটির সঙ্গে 'লাল' যুক্ত করা হয়। কারণ লাল ভালোবাসার প্রতীক।'
তিনি আরও জানান, 'আমাদের বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সিনেমা গুলি বেশি হয়। কিন্তু এই ধরনের তাঁত শিল্প নিয়ে খুব একটা কাজ হয়নি। তাই আমার মনে হয়েছে বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি যখন সামনে আনা হবে সেখানে তাঁত শিল্প এবং তাঁতিদের জীবন কাহিনীও সেখানে উঠে আসবে।'
ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে অপু বিশ্বাস প্রযোজিত এই ছবিটি। এদিন ছবিটি দেখার জন্য নন্দনেও ভিড় জমান অসংখ্য সিনেপ্রেমী মানুষরা। ইতিমধ্যে গুণীজন মহলের ছবিটি প্রশংসিতও হয়েছে।
ছবি সম্পর্কে অপু বিশ্বাস বলেন, 'আমার প্রত্যেকটি সফলতা ভক্ত, দর্শকদের।'
যদিও নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোন প্রশ্নের উত্তর দেননি এই অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, 'আজকে খুব সুন্দর একটি দিন। অপু বিশ্বাস তার কাজের মধ্যে দিয়ে দর্শকদের কাছে পৌঁছে গেছে। তাই আজকে কাজের মধ্যেই থাকবো। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো না।'
লাল শাড়ি ছবি দেখার জন্য দর্শকদের এই আগ্রহ, লম্বা লাইন সবকিছুই দারুণ উপভোগ করছেন বলেও জানান অপু।
অন্যদিকে, কলকাতায় বছরে তিন-চারবার করে আসা হলেও সিনেমা নিয়ে এই প্রথম কলকাতা পা রাখা সাইমন সাদিকের। তিনি জানান, 'নন্দনের মতন একটা জায়গায় আমাদের এই সিনেমা দেখাতে পারছি এইটা আমাদের কাছে খুব সৌভাগ্যের বিষয়। আমার খুব পছন্দের জায়গা এই কলকাতা। বছরে ৩-৪ বার আসা হয় কিন্তু এই প্রথম সিনেমা নিয়ে এসেছি। তার উপর 'লাল শাড়ি' নিয়ে দর্শকদের যে সাড়া মিলেছে, প্রচুর লম্বা লাইন- এটা খুবই ভালো লাগার বিষয়।'
কলকাতার ছবিতে কাজ করতে চান কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর সাদিক জানান, আমি এখানেও ছবি করতে চাই কিন্তু এখানকার পরিচালকদের সঙ্গে আমার খুব বেশি যোগাযোগ নেই। হয়তো আগামী দিনে হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে সুযোগ পেলে অবশ্যই কাজ করতে চাই। দুই বাংলায় যদি একসঙ্গে কাজ হয় সেটাও খুব ভালো বিষয় বলে জানান তিনি।
কলকাতার সিনেমার ভক্ত সাদিক জানান, 'আমার পাঁচটা ভালো লাগা ছবির মধ্যে একটি 'বাইশে শ্রাবণ'। ছবিটিতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় পরিচালকের কাজ, ডায়লগ, মিউজিক- সব কিছুই অসাধারণ এই ছবিটি থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।'
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত