যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত হলো কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে। এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) মিশনের বাংলাদেশ গ্যালারিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বাণী পাঠ ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
'মহীয়সী বঙ্গমাতার চেতনা, অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা'-স্লোগানে উদযাপিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর একটি প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করেন উপ-হাইকমিশনের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) তুষিতা চাকমা এবং প্রথম সচিব (বাণ্যিজিক) মো. শামসুল আরিফ।
এছাড়াও কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির বাণী, কাউন্সেলর (কনস্যুলার) এএসএম আলমাস হোসেন প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম, দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক)।
সমাপনী বক্তব্যে উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলানুত নেছা মুজিব পরস্পর পরিপূরক ও অবিচ্ছেদ্য। বাঙালি জাতির ত্রাণকর্তা হয়ে উঠার নেপথ্যে সারথি হলেন বঙ্গমাতা। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সময় কারাগারে অন্তরীন থাকার সময় বঙ্গমাতা শুধুমাত্র পরিবারেরই হাল ধরেননি, তিনি আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে পরোক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করেছেন।
সবশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ