১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৫:১৪

পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন : জম্মু-কাশ্মীরের থেকেও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা

দীপক দেবনাথ, কলকাতা :

পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন : জম্মু-কাশ্মীরের থেকেও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা

ভারতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য জম্মু-কাশ্মীর থেকেও পশ্চিমবঙ্গে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী অর্থাৎ 'সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স' (সিএপি) চাইল নির্বাচন কমিশন। এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দিয়েছে কমিশন। নির্বাচনের তফসিল এখনো ঘোষণা হয়নি, যদিও কমিশনের পক্ষ থেকে জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে আগামী এপ্রিল-মে মাসে এই নির্বাচন হবে এবং সে ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি পর্বে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। 

লোকসভার পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, ওড়িশা এবং সিকিম- ভারতের এই চার রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন হতে চলেছে। লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিটি দফা মিলিয়ে কোন রাজ্যে কত কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন তার একটা তালিকা দিয়ে ইতিমধ্যেই সেই চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে কমিশন জানিয়েছে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় তার জন্যই বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের প্রধান নির্বাচন আধিকারিকরা বাহিনীর আবেদন জানিয়েছে। 

ভোটারদের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধি করা, রুট মার্চ, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম), স্ট্রং রুম, ভোট গ্রহণ কেন্দ্র, গণনা কেন্দ্রে পাহারা দেওয়ার জন্য মোট ৩৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী লোকসভার ভোটে পশ্চিমবঙ্গের জন্যই সবথেকে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত রাখতে চাইছে।

কমিশনের ভাবনা অনুযায়ী বাংলার জন্য ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার কথা ভাবছে (১ কোম্পানিতে ১০০ জন সদস্য থাকে), যেখানে জম্মু-কাশ্মীরে সর্বোচ্চ ৬৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছে নির্বাচন কমিশন। 

সাম্প্রতিক কালে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে, একাধিক মানুষ আহত হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছিল একাধিক মানুষের। এই সহিংসতার কথা মাথায় রেখে এরাজ্যে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। স্বাভাবিকভাবে ভারতের অন্য রাজ্যগুলো থেকে পশ্চিমবঙ্গকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। 

এর পাশাপাশি ট্রেনসহ পর্যাপ্ত যানবাহনের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে, যাতে প্রয়োজনে খুব সহজেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্থানান্তর করানো যেতে পারে। উল্লেখ্য, সিএপি'র মধ্যে নিয়োজিত রয়েছে 'সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ), বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ), সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ), ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি), সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি) এর মতো বাহিনীগুলো। 

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর