শিরোনাম
বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন

পাঁচজনের ‘মুক্তিযোদ্ধা সনদ’ বাতিলে সুপারিশ

অবশেষে চার সচিব ও এক যুগ্ম-সচিবের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়েও তারা নানা কায়দায় সনদ নিয়েছেন বলে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। শীঘ্রই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)-কে নোটিস পাঠাবে এই রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা। দীর্ঘ তদন্ত শেষে অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক জুলফিকার আলী কমিশনে গতকাল এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে যাদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল চাওয়া হয়েছে তারা হলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের (ওএসডি) সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী, একই মন্ত্রণালয় থেকে ওএসডি হওয়া যুগ্ম-সচিব আবুল কাসেম তালুকদার, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সচিব এ কে এম আমির হোসেন, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ সচিব নিয়াজউদ্দিন মিঞা ও বিনিয়োগ বোর্ডে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান। সনদ বাতিলের পাশাপাশি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং পিএসসিকে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধান-সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র গতকাল বিকালে এসব বিষয় নিশ্চিত করে। জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বলেন, ‘প্রতিবেদনটি যাচাই-বাছাই শুরু হবে আজ। আশা করছি শীঘ্রই এটি চূড়ান্ত হবে। প্রতিবেদনে ভুয়া সনদের সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা হবে।’ দুদকের প্রতিবেদনে এ পাঁচজনের জাল সনদ ও গেজেট সঠিক না হওয়ায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ২০০২-এর ৭(ঝ) ধারা অনুযায়ী তা বাতিলের সুপারিশ করেছে।
 তবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নিতে পারবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানে পাঁচজনের কেউ যুদ্ধে অংশগ্রহণের সপক্ষে কোনো দালিলিক প্রমাণ দেখাতে পারেননি। যে চার ক্যাটাগরির ভিত্তিতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা শনাক্ত করা হয়, সেগুলোর আওতায়ও তারা পড়েন না। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে তাদের বয়সও ছিল কম। অনুসন্ধান প্রতিবেদনে পাঁচ আমলার মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল, সংগৃহীত সনদ বাতিল, অসদাচরণের দায়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, মিথ্যা তথ্য প্রদান করায় পাবলিক সার্ভিস কমিশন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে মর্মে সুপারিশ করা হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর