রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা
সফল মানুষ

নকশিকাঁথায় স্বাবলম্বী নারীরা

নকশিকাঁথায় স্বাবলম্বী নারীরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের নারীরা নকশিকাঁথা তৈরি করে স্বাবলম্বী হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি সহায়তা পেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জে নকশিকাঁথার হারানো গৌরব ফিরে আসবে। এক সময় নকশিকাঁথা গ্রাম বাংলার নারীরা শখের বশে তৈরি করত। পরবর্তীতে সেটি কুটির শিল্পে পরিণত হয়। এটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করলে বিশ্ববাজারে ঠাঁই করে নিতে পারবে এবং প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। পল্লীকবি জসীম উদ্দীন এই নকশি কাঁথাকে বিশ্ব দরবারে তার কাব্যের ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী এই নকশি কাঁথার বাজার এখন তুঙ্গে। মধ্যপ্রাচ্যসহ পশ্চিমা দেশে বাংলাদেশের নকশিকাঁথা ব্যাপক বাজার দখল করে নিয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর, শিবগঞ্জ, ভোলাহাট, গোমস্তাপুর ও নাচোল উপজেলায় নকশিকাঁথা ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সংসারের নিত্যদিনের কাজের ফাঁকে গ্রামের নারীরা এখন আর অলস সময় না কাটিয়ে বাড়ির উঠানে এমনকি আমবাগানে ৪/৫ জনের দলে বিভক্ত হয়ে একত্রে বসে নকশিকাঁথা তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন। বাহারি রঙের কাপড় ও সুতা দিয়ে তৈরি করা নকশিকাঁথার হরেক রকম নাম দিয়েছেন নকশি শিল্পীরা। সুই সুতার ফোঁড় দিয়ে নিপুণ হাতে তৈরি নকশিকাঁথাগুলো হলো সুজনী কাঁথা, কার্পেট কাঁথা, লেশকাঁথা, স্যাঁথা, বনমালী, কল্যাফুল, জমিনফুল, বকুলফুল, চেইনফোঁড়, তয়লাকাঁথা, ভরাইসোজা, বেডজমিন, দড়িজমিন, ট্যালকাঁথা, ছন্দকাঁথা, ঘাটসেলাই, ডালালিক, পানতাসফুল, লিকলোহিরা, শিষফুল, জাহাজফুল, আয়নাকাটা, বিস্কুটফুল, বুতাম ফুল, লিক টানা, সোজা লিক, তিন ফোঁড় ও ভাঙ্গা কাঁথা। একটি নকশিকাঁথা তৈরি করতে প্রকার ভেদে ১/২ মাস সময় লাগে। নাচোলের গৃহবধূ শারমিন বেগম বলেন, পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এবং স্থানীয় বাজার তৈরি হলে আমরা নায্যমূল্য পাব; পক্ষান্তরে, নকশিকাঁথার কদর আরও বাড়বে।

সর্বশেষ খবর