শিরোনাম
শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

জামায়াতের পক্ষে যাচ্ছে ইমরানের বক্তব্য

কামাল পাশা চৌধুরী

জামায়াতের পক্ষে যাচ্ছে ইমরানের বক্তব্য

গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারের কার্যক্রম জামায়াতের পক্ষে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মঞ্চের আওয়ামী লীগ সমর্থিত অংশের আহ্বায়ক কামাল পাশা চৌধুরী। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কামাল পাশা বলেন, ইমরানের বক্তব্য জামায়াতের সঙ্গে মিলে যায়। ইমরান বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, সরকার রায় নিয়ে আঁতাত করেছে। ট্রাইব্যুনালকে প্রভাবিত করেছে। ট্রাইব্যুনাল সরকারের হাতের পুতুল। আর জামায়াতও একই দাবি করে যে আওয়ামী লীগ নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য বিচার করছে। ট্রাইব্যুনাল তাদের হাতের পুতুল। আর এর মাধ্যমে ইমরান জামায়াতের বক্তব্য প্রতিষ্ঠিত করছেন। তিনি বলেন, ‘প্রসিকিউশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে। তাদের ভুল হতেই পারে। রায়ে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ না হলে আমরা তা ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যাখ্যান করতে পারি। তাই বলে ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করা যাবে না। সচেতনভাবে করছেন নাকি কারোর ইঙ্গিতে করছেন জানি না, তাদের কার্যক্রম জামায়াতের পক্ষেই যাচ্ছে। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়ার চেয়ে বিচার বাধাগ্রস্ত করার ক্ষেত্রে বেশি ভূমিকা রাখছে।’ কামাল পাশা চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের ধারণা ছিল সরকার দ্রুত এ রায় কার্যকর করবে। কিন্তু সরকার ধীরগতিতে এগোচ্ছে। এতে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে ফাঁসি কার্যকরের যে সময় রয়েছে তা এখনো অতিক্রম হয়নি। কামারুজ্জামান যে মাপের অপরাধী তাতে কাদের মোল্লার মতো সাত দিনের মধ্যেই রায় কার্যকর করা যেত।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধী চক্র দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকা খরচ করছে বিচার বন্ধ করতে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশসহ চক্রান্ত করছে রায় বন্ধ করতে। তবে এর দ্বারা সরকার প্রভাবিত হচ্ছে বলে আমি মনে করি না। কিন্তু সরকারের ভিতর কোনো মহল রায় নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে অবশ্যই তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’ পাশা বলেন, এটি স্বীকৃত যে জামায়াত একটি যুদ্ধাপরাধী সংগঠন। এটি পাকিস্তানি জামায়াতের একটি শাখা মাত্র। যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। এর প্রক্রিয়া চলছে। সংসদের সামনের অধিবেশনে আইন সংশোধন করে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান তিনি। আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা কমে যাওয়া বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইমরান এইচ সরকারসহ যারা নেতৃত্বে ছিলেন তাদের অদূরদর্শিতার কারণে গণজাগরণ মঞ্চে জনসমাগম কম হয়। কারণ তারা দীর্ঘদিন রাস্তা দখল করে আন্দোলন করেছেন। এতে জনগণের ভোগান্তি হয়েছে। এ ছাড়া মাসের পর মাস কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে, যা কর্মী-সমর্থকদের বিরক্ত করে তুলেছিল। তাই অনেকের অনীহা চলে আসে, তারা ঘরে ফিরে যান। ছয় দফা দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে। এ দাবি বাস্তবায়নের জন্য বিজয়ের মাসে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’ ইমরানপন্থি অংশ নিজেদের মূল গণজাগরণ মঞ্চ বলে দাবি করার প্রেক্ষাপটে কামাল পাশা চৌধুরী বলেন, মূল গণজাগরণ মঞ্চ বলতে কিছু নেই। ইমরান সরকারের সঙ্গে মঞ্চের মূল সংগঠক কেউ নেই। আছেন শুধু ছাত্র ইউনিয়নের কিছু নেতা-কর্মী। কিছু দিন আগে মঞ্চের সংগঠক বাঁধনও তাকে ত্যাগ করেছেন। ইমরানপন্থিরা এখন একটি রাজনৈতিক শক্তির পক্ষ হয়ে কাজ করছেন। তারা সিপিবি-বাসদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন।

সর্বশেষ খবর