রবিবার, ১ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

চলে গেলেন পেট্রলবোমায় দগ্ধ শাকিল ও কবির

চলে গেলেন পেট্রলবোমায় দগ্ধ শাকিল ও কবির

পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া বাসের হেলপার শাকিলের স্বজনের আহাজারি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

অবরোধের সহিংসতায় দগ্ধ ও আহত আরও দুজন মারা গেছেন। গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। তারা হলেন বাস হেলপার শাকিল (২৪) ও কবির শেখ (৪০)।
জানা গেছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে রূপগঞ্জ থানার গাউসিয়া এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তরা পেট্রলবোমা ছোড়ে। এতে হেলপার শাকিল গুরুতর দগ্ধ হন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে শাকিলের অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। গতকাল তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। বিকাল ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোজাম্মেল তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পেট্রলবোমার আগুন থেকে বাঁচতে চলন্ত পিকআপ থেকে লাফিয়ে পড়েও প্রাণে রক্ষা পাননি কবির শেখ। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর তিনি মারা যান। ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকায়। ওই ঘটনায় পেট্রলবোমার আগুনে দগ্ধ পাঁচজনকে ভর্তি করা হয়েছে ঢামেক বার্ন ইউনিটে।
কবির শেখের বাবার নাম সুবহান শেখ। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার কালুরগাঁও গ্রামে। তিনি পশ্চিম ধোলাইপাড়ের ৪২/২ নম্বর বাসায় থাকতেন। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোজাম্মেল হক কবিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কবির শেখসহ বেশ কয়েকজন মেরামতের জন্য কয়েকটি বিকল মেশিন নিয়ে একটি পিকআপ ভ্যানে চড়ে রূপগঞ্জ থেকে ধোলাইপাড় যাচ্ছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাদের বহনকারী পিকআপে পেট্রলবোমা ছুড়ে মারে। এতে পাঁচজন দগ্ধ হন। ওই সময় আগুন থেকে বাঁচতে চলন্ত পিকআপ থেকে লাফ দেন কবির। এতে তার মাথা, হাত ও পায়ে প্রচণ্ড আঘাত লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় রাত পৌনে ১১টার দিকে দগ্ধদের সঙ্গে তাকেও ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল ভোরে কবির শেখ মারা যান। হতাহতরা রূপগঞ্জের মাহিন আয়রনে কাজ করতেন। কবির মাহিন আয়রনের মালিক নাদির হোসেন নান্নুর আপন ছোট ভাই।

সর্বশেষ খবর