‘স্মাগলিং’ বাংলা ছায়াছবির প্রচলিত একটি শব্দই মনে করেন অনেকে। কিন্তু চোখের সামনে এমন স্মাগলিং হতে দেখলেও বুঝার সুযোগ নেই সাধারণ প্রবাসী শ্রমিকদের। কর্মব্যস্ততার ফাঁকে কম টাকায় দেশে কথা বলার সুযোগ আর টাকা পাঠানোর জন্য হাতের কাছে পেয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানটি স্মাগলিংয়ের সঙ্গে জড়িত কিনা! এমন প্রশ্ন জন্মও নেয় না প্রবাসীদের মনে। আর এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ভিওআইপি ব্যবসায়ীরা ‘অবৈধ’ কল বিক্রি করে বছরের পর বছর আয় করছে কোটি কোটি টাকা। বিভিন্ন দেশে কিছু বাংলাদেশি এজেন্ট কাজ করলেও এ ব্যবসার মূল হোতারা দেশেই অবস্থান করে। তারা দেশ থেকে মনিটর করে ‘অবৈধ’ এই ব্যবসা। এমনকি বিকাশ ও মোবাইল ব্যালেন্স পাঠানোর সুবিধা চালু রেখে এরা প্রবাসীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে বাড়তি অর্থ। প্রতিনিয়ত প্রতারণার জালে পা দিলেও টের পান না অধিকাংশ প্রবাসী শ্রমিক। এমন প্রতারণা ও ‘অবৈধ’ ব্যবসার ফাঁদ পেতে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমানে ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের জন্য ‘ইন্টারনেট ক্যাফে’ নামে প্রশাসনিকভাবে অনুমোদনপ্রাপ্ত বেশকিছু লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান। ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের জন্য অনুমোদন নিলেও এতে চলছে ‘অবৈধ’ ভিওআইপি কল ব্যবসা, সঙ্গে বিকাশ ও বিভিন্ন দেশে মোবাইলে ফ্ল্যাক্সিলোডের সুবিধা। প্রতি দিরহামে আট মিনিট কথা বলার সুযোগ ও দ্রুত টাকা পাঠানোর সুবিধা দেখিয়ে বাংলাদেশিদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে সুবিধার আড়ালে এরা শোষণ করছে প্রবাসী শ্রমিকদের। সরেজমিন দেখা গেছে, আজমানের নতুন সানাইয়া এলাকায় ‘ডাউন টাউন ইন্টারনেট ক্যাফে’ নামে লাইসেন্সধারী একটি প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের আড়ালে চলে ‘অবৈধ’ ভিওআইপি কল ব্যবসা। পাশাপাশি বিকাশ, বিডি ও ফ্ল্যাক্সিলোড। ফ্ল্যাক্সিলোডে বাংলাদেশে ৩০০ টাকায় তারা গ্রহণ করে ১৮ দিরহাম যা বাংলাদেশের ৩৮১ টাকার সমান। বিকাশের ক্ষেত্রটা আরও চোখে পড়ার মতো। গ্রাহকদের ব্যাংক চার্জ থেকে চার দিরহাম বেশি নেওয়ার কথা বললেও তারা আদায় করে অতিরিক্ত অর্থ। বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ ও ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রতি ৫ হাজার টাকা দেশে পাঠাতে চার্জসহ ব্যাংকে আসে ২৫১ দিরহাম। কিন্তু এসব ইন্টারনেট ক্যাফে নিচ্ছে ২৬২ দিরহাম। যা ব্যাংক থেকে আরও ১১ দিরহাম বেশি। প্রতিদিন এভাবে শত শত প্রবাসীর কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিলেও হিসাব কষার যেন কেউ নেই! অন্যদিকে, এসব ক্যাফে থেকে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে মোবাইল ডায়লার সার্ভারের মাধ্যমে সাধারণ শ্রমিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় মোবাইল ডায়লার ও ব্যালেন্স বিক্রির ব্যবসা। অনেক সময় সিআইডির হাতেও ধরা পড়েন কিছু কিছু ভ্রাম্যমাণ মোবাইল ডায়লার ও ব্যালেন্স বিক্রেতা। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দুবাই, আবুধাবিতে কড়া নিরাপত্তা থাকায় এ ব্যবসায় উৎসাহী হচ্ছেন শারজাহ, মোসাফ্ফাহ ও আজমানের বেশকিছু প্রবাসী বাংলাদেশি। গ্রেফতার হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও বেশ চলে মোবাইল ডায়লার ব্যবসা।
আজমানের ডাউন টাউন ইন্টারনেট ক্যাফের কর্মকর্তা চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শারজাহ, আবুধাবি, মোসাফ্ফাহ, দুবাইতে আমাদের মোবাইল ডায়লার ব্যবসা আছে। এন৭৩ -এর যুগে ২ ডজন মোবাইল কিনে এই ডায়লার ব্যবসা চালু করি। প্রথমে শ্রমিকদের ফ্রিতে দিলেও পরে প্রত্যেক ডলারের পেছনে ৫০ দিরহাম করে নিতে শুরু করি।’ এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি দিয়ে নজরুল বলেন, ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাঁচটি ইন্টারনেটের দোকান দিয়ে আজমান থেকে এ ব্যবসা শুরু করেছি।
শিরোনাম
- ওমান সাগরে বিদেশি তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করলো ইরান
- ওয়েবসাইট থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক সরাল ইসি
- চ্যালেঞ্জেও রপ্তানিতে আশা
- ইসরায়েলি হামলায় ত্রাণপ্রার্থীসহ নিহত আরও ৬১ ফিলিস্তিনি
- তিন দিনে ৪৮ কোটি ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক
- দুপুরের মধ্যে ৭ জেলায় ঝড়ের সম্ভাবনা
- দুর্নীতি দমন কমিশনের নতুন সচিব খালেদ রহীম
- উন্নয়নশীল হলে রপ্তানিতে চাপ বাড়বে, প্রস্তুত নয় সিমেন্টশিল্প
- নতুন চুক্তিতে ইন্দোনেশীয় পণ্যে শুল্কহার কমালেন ট্রাম্প
- ইলেকট্রনিক পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে নীতির ধারাবাহিকতা জরুরি
- অলিখিত ফাইনালে আজ কে হাসবে শেষ হাসি?
- লজ্জার হারের পর কিংবদন্তিদের নিয়ে জরুরি সভা উইন্ডিজের
- হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচারে গ্রুপ চ্যাটে হবে ভিন্ন অভিজ্ঞতা
- ঢামেক হাসপাতালে কেন্দ্রীয় কারাগারের কয়েদির মৃত্যু
- নির্বাচন : প্রস্তুতি সম্পন্নের নির্দেশ ও বাস্তবতা
- ফের ৬ উইকেট নিয়ে কিংবদন্তিদের পাশে ভনের ছেলে
- রপ্তানিতে ঋণ খরচ কমাতে সুদহারে প্রণোদনা দরকার
- শুল্ক অনিশ্চয়তায় আতঙ্কে ১০ লাখ পোশাক শ্রমিক
- স্পেনে তীব্র দাবদাহ, দুই মাসে ১১৮০ জনের প্রাণহানি
- ট্রেবলজয়ী কোচ এখন রোনালদোদের গুরু
আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা
কামরুল হাসান জনি, ইউএই
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর