শনিবার, ২১ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

দৃক কর্মকর্তার খুনি শনাক্ত হয়নি দেড় মাসেও

আলী আজম

আলোকচিত্র ও শিল্পকর্ম প্রদর্শন প্রতিষ্ঠান দৃক গ্যালারির প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইরফানুল ইসলামের খুনিরা দেড় মাসেও শনাক্ত হয়নি। পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি কারা কী উদ্দেশে তাকে হত্যা করেছে। তবে তাদের সন্দেহ, ছিনতাইকারী, অজ্ঞান বা মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে ইরফানুলের মৃত্যু হতে পারে।

চাঞ্চল্যকর এই খুনের মামলাটি অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে। সিআইডি বলছে, হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে নিরলসভাবে তারা কাজ করে যাচ্ছে। সিআইডির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, দৃক গ্যালারির কর্মকর্তা ইরফানুলের হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে সিআইডির পাশাপাশি ডিবি, র‌্যাব ও পিবিআই কাজ করছে। আশা করছি দ্রুতই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল দুপুরে দৃক গ্যালারির মহাব্যবস্থাপক রেজাউর রহমান কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এতে বলা  হয়, ২ এপ্রিল বেলা ১১টা ২৬ মিনিটে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইরফানুল ইসলাম ৩ লাখ ৮ হাজার টাকার একটি চেক ভাঙাতে ধানমন্ডির ২৭ নম্বর সড়কসংলগ্ন অফিস থেকে বাইরে বের হন। টাকা তোলার পর ১১টা ৪৮ মিনিটে তার সঙ্গে দৃক গ্যালারি অফিস থেকে মোবাইল ফোনে শেষবারের মতো যোগাযোগ হয়। এরপর তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। পরে ওই দিন বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার জালকুড়ির ঝোপ থেকে ইরফানুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ৪ এপ্রিল ইরফানুলের ভাই ইমদাদুল ইসলাম বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। মামলার বাদী ও নিহতের ভাই ইমদাদুল ইসলাম বলেন, নিহত ইরফানুলের কোনো শত্রু বা কারও সঙ্গে বিরোধ ছিল না। তার মৃত্যু যেভাবেই হোক, তিনি দ্রুত এর রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানান। উল্লেখ্য, নিহত ইরফানুলের একমাত্র ছেলে ইফতেখারুল ইসলাম উমাম এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

সর্বশেষ খবর