চার বছরেও হয়নি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উত্তর ও দক্ষিণের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। অবশেষে গত ১০ এপ্রিল দুই মহানগরের থানা, ওয়ার্ড ও কেন্দ্রের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের নাম ঘোষণা হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা এখনো ঘোষণা করা হয়নি। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা না হওয়ায় মাঠের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা কাটছে না। তারা দলীয় কার্যক্রমে মন দিতে পারছেন না। মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মী এ তথ্য জানিয়েছেন। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের ৫৭টি ওয়ার্ড ও ২৪টি থানা এবং ঢাকা মহানগর উত্তরে ৩৬টি ওয়ার্ড ও ২৫টি থানার সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রকাশ করা হয়েছে ইতিমধ্যে। এসব থানা ও ওয়ার্ডের পূর্ণাঙ্গ কমিটি চান সাধারণ নেতা-কর্মীরা। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর। এর আগে ২০০৩ সালের ১৮ জুন সম্মেলন হয় এ সংগঠনের। সূত্রমতে, দুই মহানগরীর কমিটির তালিকা প্রণয়নে দায়িত্ব দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষস্থানীয় নেতাকে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তরের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খানকে। আর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পান আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুর রাজ্জাক। এই দুই সমন্বয়কই মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে মহানগরীর ঘোষিত তালিকার খসড়া প্রণয়ন করেন বলে জানা গেছে। কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে চূড়ান্ত করবেন। চূড়ান্ত তালিকা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখিয়ে তা প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। তবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন কমিটির খসড়া তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। তালিকা প্রণয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই সমন্বয়ক যে কোনো সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খসড়া জমা দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের পূর্ণাঙ্গ তালিকা ঘোষণা করা হবে। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক সাবেক নেতা জানান, পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের আনাগোনা নেই। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলে কর্মীদের মাঝে নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে। কর্মীরা সরকারবিরোধী যে কোনো আন্দোলন রাজপথে থেকে তা মোকাবিলা করবে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওমর আলী বলেন, সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম মোকাবিলা করতে হলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমরা নেতৃত্বে থাকাকালীন সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ নেতা-কর্মীদের পদভারে মুখর থাকত। এখন তা নেই। জানা গেছে, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের তৃণমূল পর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নবীনদের মধ্য থেকে যোগ্যদের দলে টানা হবে। এতে করে দীর্ঘদিন রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে থাকা নেতাদের অনেকে বাদ পড়তে পারেন। নবীন-প্রবীণের এই সমন্বয় ঘটাতে গিয়ে বিপাকে পড়তে পারেন নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। যে কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করতে বিলম্ব হচ্ছে।
শিরোনাম
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
- বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
- নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
- সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
- এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
- ১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
- মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
- উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
- চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
- শ্রোতাদের জন্য হাবিবের নতুন গান ‘দিলানা’
- কোটি মানুষের একটাই দাবি—ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া : মঈন খান
- পঞ্চগড়ে বিএনপির মৌন মিছিল
- ইন্টারনেট শাটডাউন রোধে আসছে আইন : ফয়েজ আহমদ
- কাপ্তাই হ্রদের উন্নয়নে দুই উপদেষ্টার মতবিনিময়
- সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
- চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
- সুনামগঞ্জে পানিতে ডুবে ৩ জনের মৃত্যু
- মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
- বাফুফের ফুটসাল ট্রায়াল শুরু রবিবার
- গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল