বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

এখন বাবুলকেই সন্দেহ শ্বশুরের

প্রতিদিন ডেস্ক

এখন বাবুলকেই সন্দেহ শ্বশুরের

মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ডে তার স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকেও এখন সন্দেহ করছেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। বাবুলের সাম্প্রতিক    কিছু আচরণ এবং তার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আসায় এ সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে তার। সূত্র : বিডিনিউজ। উল্লেখ্য, মিতু হত?্যাকাণ্ডের পর নানা গুঞ্জনের মধ্যে মোশাররফ হোসেন জামাতার পক্ষেই বলছিলেন। কিন্তু এখন তিনি ‘বাবুলের মায়ের পরিবারে খুনের ইতিহাস আছে’ দাবি করে গত মঙ্গলবার বলেন, ‘এখন যেসব শুনছি, তার কিছুটাও যদি সত্য হয় তাহলে তো বুঝব, স্ত্রী মারা যাওয়ার পর বাবুল আমার বাসায় থেকে অভিনয় করেছে।’ তিনি বলেন, ‘এটা তার এক ধরনের কৌশল ছিল।’ মেয়ের মৃত্যুর জন্য এখন জামাতা সন্দেহে আসার কারণ ব্যাখ্যা করে এই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ বলেন, ‘আমাদের মতামত ছাড়াই বাবুল আমার নাতিদের নিয়ে বাসা ছেড়ে চলে গেছে। কোনো ধরনের যোগাযোগ করে না। আদ-দ্বীন হাসপাতালের মালিক বাবুলকে চাকরি দিয়েছেন। তিনিও বলেছিলেন, বাবুল যেন অন্তত দুই বছর এখানে থাকে। সে চাকরি পেয়ে ওই কথাও শোনেনি। এখন যেহেতু বাবুল চলে গেছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডাকার পর চট্টগ্রামে যাই। মামলার বাদী হয়েও বাবুল সেখানে যায়নি। অথচ বাদীর দায়িত্ব সাক্ষীকে তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। সেখানে বলেছি, মিতুকে হত্যার মোটিভটা আমরা জানতে চাই।’

প্রসঙ্গত, ২৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামে গিয়ে তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন মিতুর বাবা মোশাররফ ও মা সাহেদা মোশাররফ নীলা। এ প্রসঙ্গে মিতুর বাবা আরও বলেন, ‘মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, বাবুল কেন চাকরি ছেড়ে দিল?

আপনারা কী মনে করছেন? ওই তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, আপনি তাকেই প্রশ্ন করুন। তিনি খুব ভালোভাবে জানেন কেন বাবুল চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।’ ওইদিন তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনার পর বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মিতুর বাবা-মা। সে প্রসঙ্গ তুলে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এক নারী সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলাম, বাবুল ও মিতু দুজনেরই পরকীয়া থাকতে পারে। তোমাদেরও থাকতে পারে। বাবুল আক্তারের সঙ্গে কারও প্রেম হলো, সে তো নিশ্চয়ই চাইবে না বাবুল আক্তারের বউ থাকুক। সেও তো কোনো ক্ষতি করে থাকতে পারে। তদন্ত কর্মকর্তাকে বার বার খুনের মোটিভটা খুঁজে বের করতে অনুরোধ করেছি।’ তিনি বলেন, “কয়েক দিন আগে বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে একটি পত্রিকায় পরকীয়ার একটি সংবাদ হয়েছিল। ২০১৫ সালে ওই এসআই মারা যান। তার বোন জান্নাত আরা রীনি তার পরিবারসহ আমার বাড্ডার বাসায় এসেছিল। তখন তারা বাবুলের সঙ্গে তার ভাইয়ের স্ত্রী বনানী বিনতে বসির বর্ণির ‘পরকীয়ার’ পুরো ঘটনাটিই আমাকে বলেছেন। এখন যা শুনছি, এমন অভিযোগ বাবুলের বিরুদ্ধে আজীবন ছিল। শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়স্বজনরা মিতুকে অত্যাচার করত। ঘটনার ১৫ দিন আগেও বাবুল আক্তারের বাসায় একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল।” এতদিন পরে বাবুলের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ কেন আসছে— তারও একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন মোশাররফ। তিনি বলেন, ‘আমি তো বাবুলের বিষয়ে সব সময় আগে পজিটিভ বলেছি। তাই আগে তারা কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।’

সর্বশেষ খবর