শনিবার, ৪ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা
ফেসবুকে ছাত্রীর অশ্লীল ছবি

ঘরবন্দী দুই বোনের স্কুলে যাওয়া বন্ধ

শেখ সফিউদ্দিন জিন্নাহ্

প্রেম প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছবি কারসাজির মাধ্যমে এক বোনের অশ্লীল ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় মোখলেস নামের এক বখাটে। এতে লজ্জায়-ঘৃণায় সহোদরা দুই বোন স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অপরদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ওঠেপড়ে লেগেছে সমাজের কিছু অসাধু প্রভাবশালী। এতে স্কুলে ফেরা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে দুই বোনের। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর এলাকার ঘটনাটি জানাজানি হলে বখাটে যুবক সহযোগীসহ গা ঢাকা দেয়। এ ঘটনায় ছাত্রীর বড় ভাই দিল মোহাম্মদ বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় ২ মার্চ একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা নম্বর ৬। ঘটনার পর থেকে মোখলেস ও তার সহযোগী পলাশ পলাতক। দরিদ্র পরিবারের ওই দুই বোন শ্রীপুরের সাতখামাইর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তাদের বাবা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। কিন্তু বখাটে যুবক মোখলেস প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ছবি কারসাজির মাধ্যমে এক বোনের অসংখ্য ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। এতে লজ্জায়-ঘৃণায় স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেছে মেয়েটি। বড় বোনের অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে পড়ায় ছোট বোনটিও বিদ্যালয় ছেড়ে দিয়েছে। বখাটে যুবক মোখলেস (২১) পার্শ্ববর্তী ডালেশহর পূর্বপাড়া বস্তির মঞ্জু মিয়ার ছেলে। এই ঘটনায় মোখলেসের সহযোগী ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল মিয়ার ছেলে পলাশ।

ওই ছাত্রী জানায়, কয়েক মাস আগে বিদ্যালয় যাওয়ার পথে মোখলেস তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। সে তাত্ক্ষণিক প্রত্যাখ্যান করলে মোখলেস তাকে ‘বেশি দেমাগ ভালো নয়’ বলে শাসায়। কয়েকদিন পর আবারও প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হলে তাকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দিয়েছিল। ছাত্রীর বড় ভাই দিল মোহাম্মদ বলেন, মোখলেস কৌশলে তার ছোট বোনের ছবি সংগ্রহ করে কারসাজি করে পর্নো মডেলদের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে তা তার পৃথক তিনটি ফেক আইডি থেকে ছড়িয়ে দিয়েছে।

সাতখামাইর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লিয়াকত আলী দুলাল বলেন, ঘটনার পর থেকে দুই বোন বিদ্যালয়ে আসছে না। আমি বৃহস্পতিবার মেয়েটির বাড়িতে গিয়েছি। তাদের স্কুলে ফেরানোর চেষ্টা করছি।

শ্রীপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল হাসান বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। জড়িত মোখলেসকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর