রবিবার, ১২ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা
পুলিশের গাড়িতে আগুন

অজ্ঞাত ৩০০ ও চালকের বিরুদ্ধে মামলা

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা সদর উপজেলার বালুতুপা এলাকায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় নিহত যুবক রাসেলের লাশ গুম-চেষ্টার অভিযোগে জনতার পুলিশের গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৩০০ জন ও নিহতের ভাই মো. মানিক বাদী হয়ে মাইক্রোবাস চালক আবুল বাশারের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে মামলা করেছেন। বাশার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার দৈয়ারা গ্রামের সুলতান আহমেদের ছেলে। পুলিশের গাড়ি পোড়ানোর মামলাটি দায়ের করেন সদর দক্ষিণ থানার এএসআই জহিরুল আলম। উল্লেখ্য, শুক্রবার পুলিশের ব্যবহৃত গাড়ির ধাক্কায় রাসেল নিহত হন। ভোরে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশের চার সদস্য একটি মোটরসাইকেল চালককে সদর দক্ষিণ উপজেলার লক্ষ্মীপুর থেকে ধাওয়া করেন। পরে সদরের বালুতুপা এলাকায় সড়কে এসে মোটরসাইকেলের যুবকটি পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় রাস্তার পাশে পড়ে গিয়ে মারা যান। পরে তার লাশ ঘটনাস্থল থেকে ২০০ গজ দূরে ফসলি জমিতে পাওয়া যায়। স্থানীয়দের বক্তব্য, পুলিশ লাশটি গুম করতে চেয়েছিল। রাসেলের লাশ গুম-চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় জনতা পুলিশের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় জনতা পুলিশ কনস্টেবল খোরশেদ আলম (৪৮), মিজানুর রহমান (৪৭) ও কামাল উদ্দিনকে (৫৫) আটক করে মারধর করে। অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে। নিহত রাসেল নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ভীমপুর গ্রামের মৃত সফিউল্লার ছেলে। রাসেল নিহতের ঘটনা তদন্তে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আবদুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে তিন সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবু ছালাম মিয়া জানান, নিহত রাসেলের বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল চুরি, মাদক পাচার এবং চোরাকারবারের অপরাধে আগে চারটি মামলা রয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে লাশ গুমের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত চলছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে। এদিকে সদর দক্ষিণ থানার ওসি নজরুল ইসলাম পুড়ে যাওয়া মাইক্রোবাসটি সম্পর্কে জানান, পুড়ে যাওয়া মাইক্রোবাসটি ভাড়ায় নেওয়া হয়েছে। মালিককে এখনো পাওয়া যায়নি, ক্ষতিপূরণের বিষয়েও তিনি জানেন না বলে জানান।

সর্বশেষ খবর