শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
খাদ্যে ভেজালের মামলা

আগোরা চেয়ারম্যানের কারাদণ্ড, পরে জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভেজাল ঘি বিক্রির মামলায় সুপারশপ আগোরার চেয়ারম্যান নিয়াজ রহিমকে সাজা দিয়েছে আদালত। দুই মামলার প্রত্যেকটিতে নিয়াজ রহিমকে এক বছর করে কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ না দিলে তাকে আরও এক মাস কারাগারে থাকতে হবে। গতকাল ঢাকার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক বিশেষ মহানগর হাকিম মো. মাহবুব সোবহানী এই রায় দেন। প্রথমে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও তার আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে অন্য আরেক বিচারক ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন দেন। আগোরার চেয়ারম্যান নিয়াজ রহিম ব্যবসায়ী গ্রুপ রহিম আফরোজ গ্রুপের একজন পরিচালক। এই গ্রুপের আরও কয়েকটি কোম্পানির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন তিনি। তবে আগোরার ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ এখন রয়েছে ইক্যুইটি ফান্ড ব্রামার অ্যান্ড পার্টনারস অ্যাসেটস ম্যানেজমেন্ট বাংলাদেশের হাতে। ঢাকা দক্ষিণের নগর ভবনের ১০ তলায় বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে নিয়াজ রহিমের উপস্থিতিতে এই রায় হয়। ভেজাল খাদ্য বিক্রির অভিযোগে মামলা দুটি হয়েছিল ২০০৮ সালে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালে আগোরার মগবাজার বিক্রয় কেন্দ্র থেকে ‘কুষ্টিয়ার স্পেশাল গাওয়া ঘি’ জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে নমুনা পরীক্ষায় ভেজাল পাওয়া যায়। এ কারণে আগোরার চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়াজ রহিমের বিরুদ্ধে মামলা করেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ফখরুদ্দীন মোবারক। কুষ্টিয়ার সেই ঘিয়ের উৎপাদক আবদুল কুদ্দুসকেও আসামি করা হয়। মামলা হওয়ার পর আবদুল কুদ্দুস দোষ স্বীকার করে নিলেও নিয়াজ রহিম ওই মামলার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগ পর্যন্ত যান এবং বিফল হন। পরে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে এ মামলার বিচার শুরু হয়। আগোরায় বিক্রি হওয়া অনিল ঘোষের ‘স্পেশাল বাঘাবাড়ির ঘি’-তে ভেজাল পাওয়ার অভিযোগে অন্য মামলাটিও হয় ২০০৮ সালে। এ মামলায় নিয়াজ রহিমের সাজা হলেও অনিল ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।

সর্বশেষ খবর