চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কোন প্রাণীর কী অবস্থা, কত প্রজাতির কত প্রাণী আছে, কোন প্রাণীর ঘরে আসছে নতুন অতিথি, কোন প্রাণীর তালিকায় কোন খাবার থাকে, কোন প্রাণীর আচরণ কেমন- এসব তথ্য মিলবে কেবল একটি ক্লিকেই। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠার ২৯ বছর পরই প্রথমবারের মতো নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করা হলো। এর মাধ্যমে ঘরে বসেই চিড়িয়াখানার সব তথ্য পাবেন আগ্রহী দর্শনার্থীরা। চট্টগ্রামের পাহাড়বেষ্টিত ফ’য়স লেকের পাশে ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠা করা হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় দেশ-বিদেশের ৬৭ প্রজাতির প্রায় ৩৫০ প্রাণী আছে। চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, ‘চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা সম্পর্কে দেশ-বিদেশের মানুষদের একটি ধারণা দিতে আমরা ওয়েবসাইটটি তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করি। এখানে ভিজিট করলে অনেক অজানা তথ্য জানা যাবে। অনলাইনে জেনে চিড়িয়াখানায় আসতেও আগ্রহী হবেন। এ ছাড়া শিক্ষা, গবেষণায় আগ্রহী এবং পর্যটন স্পট হিসেবেও চিড়িয়াখানাটি মানুষের কাছে পৌঁছতে ওয়েবসাইটটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’ চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যায়, চিড়িয়াখানার সামগ্রিক তথ্য এক ক্লিকে পাওয়ার লক্ষ্যেই ওয়েবসাইটটি তৈরির কাজ শুরু হয়। অনলাইনের আওতায় এনে ওয়েবসাইটটি তৈরি করতে প্রায় আট মাস সময় লাগে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে সব প্রাণীসহ যাবতীয় সব তথ্যই সংযুক্ত করা হয়েছে ওয়েবসাইটে। এই ওয়েবসাইট (www.chittagongzoo.gov.bd) এ প্রবেশ করে যে কেউ প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারবে। এখানে রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ইতিহাস, চিড়িয়াখানার উদ্দেশ্য, চিড়িয়াখানার পরিকল্পনা, পশু-পাখির নামসহ বিস্তারিত বিবরণ, কোন প্রাণীর দাম কত, চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করে কোন কাজটি করা যাবে; কোনটি করা যাবে না, পুরো চিড়িয়াখানার মানচিত্র অর্থাৎ চিড়িয়াখানার কোন পাশে কোন পশু-পাখির খাঁচা আছে, সুযোগ-সুবিধা, নোটিস বোর্ড, চিড়িয়াখানার ছবি ও ভিডিও গ্যালারি-যেখানে কোন সময়ে কত সংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম চিড়িয়াখানায় ঘটেছে তাও উল্লেখ থাকবে। আছে চিড়িয়াখানা সম্পর্কে যে কোনো কিছুর জন্য যোগাযোগের তথ্য। এখানে একটি তথ্য ডেস্কও রাখা হয়েছে। তাছাড়া সাপ্তাহিক কতদিন ও কতক্ষণ চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন তাও জানা যাবে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। জানা যায়, ৬ একর জমির ওপর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ৬৭ প্রজাতির ৩৫০ পশু-পাখি আছে। বর্তমানে আছে দুটি সিংহ, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা দুটি বাঘ, ছয়টি জেব্রা, আছে শিশুদের ‘কিডস জোন’। সর্বশেষ ৩৪ লাখ টাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে পক্ষীশালা। পক্ষীশালার জন্য কেনা হবে ৬ প্রজাতির ৩০০ পাখি। এর মধ্যে লাভবার্ড ২০ জোড়া, লাফিং ডাভ ৫০ জোড়া, ফিজেন্ট ১০ জোড়া, রিংনেড পেরোট ১০ জোড়া, কোকাটেইল ৫০ জোড়া, ম্যাকাও এক জোড়া। এভিয়ারির আয়তন হবে দৈর্ঘ্যে ৬০ ফুট আর প্রস্থে ২৫ ফুট। এরপর যোগ হবে ক্যাঙ্গারু।
শিরোনাম
- শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
- প্রথম মরক্কান হিসেবে আফ্রিকার বর্ষসেরা হাকিমি
- ভারতকে হারিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগুলো বাংলাদেশে
- ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
- জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
- চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
- তত্ত্বাবধায়ক ফেরা প্রশ্নে আপিলের রায় আজ
- রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
- বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
- স্বর্ণের দাম বেড়েছে
- বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
- গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ
- অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
- শেখ হাসিনাকে বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ফিরিয়ে রায় কার্যকর করতে হবে : দুলু
- সাইফের স্ট্যালিয়ন্সকে হারাল তাসকিনের নর্দান ওয়ারিয়র্স
- তা’মীরুল মিল্লাত মাদরাসার টঙ্গী শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
- ৪২ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেন স্কটিশ গোলরক্ষক গর্ডন
- দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
- জিয়া পরিবার ফোবিয়ায় যারা ভোগেন, তাদের জনভিত্তি নেই : প্রিন্স
- বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো ডেনমার্ক
প্রকৃতি
এক ক্লিকেই ৩৫০ প্রাণীর তথ্য
রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর