খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার হওয়া ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকার খুলনা প্রতিনিধি হেদায়েত হোসেন মোল্লাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে আদালত। গতকাল বিকালে জেলা ও দায়রা জজ মো. মশিউর রহমান চৌধুরী তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে সন্ধ্যায় জেল গেট থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর আগে সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
আসামির আইনজীবী মো. মাছুম বিল্লাহ জানান, সাংবাদিক হেদায়েত আগে থেকেই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত ছিলেন। সকালে তাকে রিমান্ডে বটিয়াঘাটা থানায় নেওয়া হলে তিনি সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে পুলিশ তাকে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আদালতে হাজির করে। বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ সময় তার আইনজীবীরা অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন করেন। জেলা জজ আগামী ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন। পুলিশ জানায়, এর আগে সোমবার রাতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। মামলায় সাংবাদিক হেদায়েত হোসেন মোল্লা ও দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার রাশিদুল ইসলামকে আসামি করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে হেদায়েত হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার এজাহারে তাদের বিরুদ্ধে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে খুলনা-১ আসনে মোট ভোটারের তুলনায় ২২ হাজার ৪১৯ ভোট বেশি পড়েছে বলে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও পরস্পরের যোগসাজশে বটিয়াঘাটা উপজেলা কম্পাউন্ডের মধ্যে ইলেকট্রনিক ডিভাইস/ল্যাপটপ ব্যবহার করে ওই সংবাদ অনলাইনে প্রকাশের অভিযোগ আনা হয়।এদিকে সন্ধ্যায় জেল গেটে উপস্থিত থেকে সাংবাদিক হেদায়েতকে গ্রহণ করেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম হাবিব ও সাধারণ সম্পাদক সাহেব আলী, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, যুগ্ম-সম্পাদক সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা সম্পাদক পরিষদের নেতা মো. মোস্তফা সরোয়ার, মিজানুর রহমান মিল্টন, সাংবাদিক নেতা আবু তৈয়ব, হাসান আহমেদ মোল্লা, কৌশিক দে বাপী ও আবু হেনা মোস্তাফা জামাল পপলু।
