বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

আইএসের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চিকিৎসক ব্রিটেনে ফিরতে চান

প্রতিদিন ডেস্ক

আইএসের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চিকিৎসক ব্রিটেনে ফিরতে চান

ইসলামিক স্টেটের জিহাদিদের চার বছর চিকিৎসা দিয়ে এখন সিরিয়ায় বন্দী জীবনে থাকা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ফার্মাসিস্ট মোহাম্মদ আনোয়ার মিয়া এখন যে কোনো শর্তে যুক্তরাজ্যে ফিরতে চান। ডেইলি মেইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ৪০ বছর বয়সী আনোয়ার মিয়া বলেছেন, সিরীয় স্ত্রী আর দুই সন্তানকেও ব্রিটেনে নিয়ে যেতে চান তিনি। বিডি নিউজ

আনোয়ার ২০১৪ সালে সিরিয়ার উদ্দেশে যুক্তরাজ্য ছাড়ার আগে থাকতেন বার্মিংহামে। ভুয়া কর্মীর নাম সৃষ্টি করে বেশি কর্মঘণ্টা কাজ করে বাড়তি টাকা আয়ের অভিযোগে আগের বছর তার ফার্মাসিস্ট লাইসেন্স বাতিল করা হয়।

সিরিয়া গিয়ে ইসলামিক স্টেটের কথিত খিলাফতে আনোয়ারের নতুন নাম হয় আবু ওবাইদা আল-ব্রিটানিয়া। তিনি বলছেন, আইএসের অধীনে মায়াদিন শহরে তিনি চার বছর অর্থোপেডিক সার্জন হিসেবে কাজ করেছেন। এ বিষয়ে ডিগ্রি না থাকলেও বই পড়ে তিনি ডাক্তারি শিখেছেন। আনোয়ার দাবি করেছেন, তিনি কখনই আইএস এর অনুগত ছিলেন না, তিনি অবৈধভাবে সিরিয়া গিয়েছিলেন- ‘মানবিক কারণে’। ডেইলি মেইল লিখেছে, গত আগস্টে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আর নয় মাসের মেয়েকে নিয়ে একটি মোটরবাইকে করে মায়াদিন থেকে পালানোর সময় ইরাক সীমান্তের কাছে কুর্দি বাহিনীর হাতে আটক হন আনোয়ার। পরে সিরীয় বাহিনী তার স্ত্রী ও মেয়েকে সরিয়ে নিলে পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান আনোয়ার। ফলে দ্বিতীয় সন্তানকে কখনো তিনি দেখেননি। আনোয়ার জানেন না তার স্ত্রী সন্তানরা এখন কোথায় আছে। কিন্তু তার দাবি, তার সন্তানরা বাবার সূত্রে ব্রিটিশ নাগরিক, তাদের নিয়ে তিনি ব্রিটেনে ফিরে যেতে চান।

‘আমি বাড়ি ফিরতে চাই। আমি একজন গর্বিত ব্রিটিশ নাগরিক। ব্রিটেন মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেয়, এটা খুবই ভালো।’ আনোয়ার বলেছেন, তিনি তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ব্রিটেনে ফিরে যেতে চান, স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চান। ‘যদি তারা আমার স্ত্রীকে হেলথকেয়ার সুবিধা দিতে রাজি নাও হয়, কেবল থাকার অনুমতি দিলেই আমি খুশি। সিরিয়ায় যাওয়ার জন্য অনুতাপ প্রকাশ করে আনোয়ার বলেছেন, সময়মতো ফেরার সুযোগ থাকলে তিনি আর সিরিয়া যেতেন না। ডেইলি মেইল লিখেছে, শামিমা বেগমের মতো আনোয়ার মিয়াও জন্মেছেন ব্রিটেনে, তবে তার মা জন্মসূত্রে একজন বাংলাদেশি। আনোয়ার বলেছেন, তিনি কেবল ব্রিটেনেরই নাগরিক, বাংলাদেশি কোনো পাসপোর্ট তার কাছে নেই। ‘আমি জীবনে দুই কি তিনবার বাংলাদেশে গেছি। বাংলাদেশে পাঠানোর বদলে আমি বরং জেলখানায় থাকতে রাজি।’ মাকে তিন সপ্তাহের জন্য বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে ২০১৪ সালে নিরুদ্দেশ হন আনোয়ার মিয়া। এরপর আর মায়ের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়নি।

সর্বশেষ খবর