জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাবেক ও বর্তমান দুই মন্ত্রী এবং শিল্পী-সাহিত্যিকসহ ১২ জন চলতি বছর রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন শিল্পী মুর্তজা বশীর ও কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকও। মরণোত্তর পুরস্কার পাচ্ছেন চারজন। ব্যক্তি পর্যায় ছাড়াও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ পুরস্কার দেবেন।

গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবারের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য যাদের মনোনীত করা হয়েছে তাদের মধ্যে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য শহীদ বুদ্ধিজীবী মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী এবং শহীদ এটিএম জাফর আলমকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক এবং অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদকেও মরণোত্তর এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। একই ক্যাটাগরিতে এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে পুরস্কার পাচ্ছেন ডা. কাজী মিসবাহুন নাহার। চিকিৎসায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নুরুন্নাহার ফাতেমা বেগম, সমাজসেবা/জনসেবায় অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। সংস্কৃতিতে মুর্তজা বশীর, সাহিত্যে হাসান আজিজুল হক, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে অধ্যাপক হাসিনা খানকে এ বছরের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শ্রেণিতে। প্রসঙ্গত, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। পুরস্কারজয়ী প্রত্যেকে পাবেন ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, তিন লাখ টাকার চেক ও একটি সম্মাননাপত্র। মরণোত্তর পুরস্কার প্রাপ্তদের পুরস্কার পদক, সম্মাননা গ্রহণ করবেন তাদের উত্তরাধিকারীরা।