শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যেন নিজেই রোগী

তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা

অজয় দাস, ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনিক্যাল ল্যাবে তিনটি পদের তিনটিই দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। এক্স-রে মেশিন নষ্ট, প্যাথলজি ল্যাব বন্ধ, ইসিজি মেশিন নষ্ট। পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ। পাশাপাশি চিকিৎসক সংকটে চিকিৎসাসেবাও চলছে কোনোরকমে। মনে হয় যেন এ হাসপাতাল নিজেই রোগী। 

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার একটি পৌরসভা, ১২টি ইউনিয়নের ৩ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসাসেবার জন্য ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট প্রকট আকার ধারণ করায় ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে এ হাসপাতালে জুনিয়র কনসালটেন্টের ১০টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে জুনিয়র কনসালটেন্ট এনেস্থেসিয়া, সার্জারি, মেডিসিন, শিশু, অর্থোপেডিক, চক্ষু, ইএনটি, গাইনি, চর্ম ও যৌনÑ এ পদগুলা শূন্য রয়েছে। এক কথায় সব কনসালটেন্টের পদ শূন্য। আবাসিক মেডিকেল অফিসারের পদ, মেডিকেল অফিসার এমও, ইএমও, আইএমও, প্যাথলজিস্ট অল্টারনেটিভ কেয়ারের পদ শূন্য রয়েছে। তিনজন মেডিকেল অফিসার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রতি মাসে বেতন নিলেও তারা ঢাকা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংযুক্ত রয়েছেন। ফার্মাসিস্টের দুটি পদ শূন্য রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ মোট ২৯ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ৬ জন।  ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ খালেদুর রহমান মিয়া বলেন, চিকিৎসকসহ জনবল সংকট প্রকট। এতবড় হাসপাতাল অল্প কয়েকজন চিকিৎসক দিয়ে সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পদ পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সঙ্গেই ভাঙ্গা পৌর এলাকায় ১৯৭৬ সালে ৮ একর ৭ শতাংশ জমির ওপর ৩১ শয্যার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্থাপন করা হয়। ১৯৯৭ সালে এটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর