শিরোনাম
বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

কাঞ্চন পৌর নির্বাচনে এগিয়ে রফিক

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

কাঞ্চন পৌর নির্বাচনে এগিয়ে রফিক

রফিকুল ইসলাম রফিক

আগামী ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার নির্বাচন। এ নির্বাচন নিয়ে প্রবল আগ্রহ রয়েছে ভোটারদের মধ্যে। মেয়র পদে চার প্রার্থীর মধ্যে ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিক। দলীয় একক প্রার্থী, এলাকায় জনসেবা ও বয়সে তরুণ হওয়ায় রফিকুল ইসলাম রফিকের রয়েছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা। গতকাল প্রচারণার শেষ দিনও প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় সরব ছিল পৌরাঞ্চল। মধ্যরাত অবধি চলেছে প্রার্থীদের গণসংযোগ, মিছিল আর উঠান-বৈঠক। মেয়র-কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বিভিন্ন প্রার্থীর পোস্টারে ছেয়ে গেছে পৌরসভার প্রতিটি অলিগলি। কে হচ্ছেন আগামীর পৌরপিতা এ বিষয়ে ভোটাররা স্থির সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলামের প্রতিই এবারের নির্বাচনে আস্থা ভোটারদের।

জানা যায়, এবার ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে কাঞ্চন পৌরসভায়। চলতি নির্বাচনে রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভায় মেয়র পদে চারজন এবং কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরও ৩১ প্রার্থী। চারজন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে এবারের নির্বাচনে ভোটারদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাঞ্চন পৌর যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক। তার অন্যতম কারণ, আওয়ামী লীগ থেকে তিনিই একমাত্র প্রার্থী। বিএনপি এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো প্রার্থী না দিলেও বাকি তিন প্রার্থীই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এরা হচ্ছেন বর্তমান মেয়র ও কাঞ্চন পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আবুল বাশার বাদশা, সাবেক মেয়র ও কাঞ্চন পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবর রহমান ভূঁইয়া এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম ইমন।

ভোটাররা জানান, চলতি নির্বাচন সামনে রেখে বিগত পাঁচ বছর রফিকুল ইসলাম কাঞ্চন পৌরাঞ্চলের অলিগলি চষে বেড়িয়েছেন। পৌরবাসীর সুখে-দুঃখে সব সময় পাশে ছিলেন তিনি। পৌরসভার ৮৮টি মসজিদের উন্নয়ন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ২০০ সাবমারসিবল পানির পাম্প স্থাপন, আড়াইশ অসচ্ছল পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া এবং পাঁচ শতাধিক লোকের কর্মসংস্থানসহ নিজস্ব অর্থায়নে শতাধিক যুবককে প্রবাসে পাঠিয়েছেন রফিক। পৌরসভার এক হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাব্যয় ও ১ হাজার নাগরিকের চিকিৎসা-ব্যয় নিয়মিত বহন করছেন তিনি। দরিদ্রদের রিকশা ও সেলাই মেশিন প্রদান এবং পৌরাঞ্চলে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালুসহ বিভিন্ন সহযোগিতার কারণে তিনি রয়েছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। রফিকুল ইসলাম রফিককে সাধারণ মানুষ মেয়র হিসেবে পেতে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি পৌরসভার পাড়া-মহল্লায় ভোটের জন্য তার পক্ষে কাজ করছেন সাধারণ মানুষ। কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলি বলেন, ‘কাঞ্চন ইউনিয়ন পরিষদকে ২০০৩ সালে পৌরসভায় রূপান্তরিত করা হয়। সে হিসেবে এ পৌরসভায় যেটুকু উন্নয়ন হওয়ার কথা, সে পরিমাণ উন্নয়ন হয়নি বিগত ১৭ বছরে। উন্নয়নের ছোঁয়া কাঞ্চন পৌরসভায় লাগেনি। পারিবারিক শাসনে বন্দী পৌরপিতার পদটি পরিবারতন্ত্র থেকে অবমুক্ত করতে ভোটাররা এবার আলহাজ রফিকুল ইসলাম রফিককে দল-মত নির্বিশেষে প্রত্যাশা করছেন। জনমতেও এগিয়ে রয়েছেন রফিক। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হওয়ায় মেয়র পদে রফিকুল ইসলাম রফিকের বিজয় সুনিশ্চিত।’ এ ব্যাপারে কাঞ্চন পৌর বিএনপির ৫ ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত সময়ে আমরা দুই পরিবারের কাছে জিম্মি ছিলাম। ভালো কোনো প্রার্থী পাইনি। সে কারণে দুটি পরিবারের লোকজন আমাদের এলাকায় ৬৫ বছর ধরে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। ফলে আমাদের এলাকায় তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। এখন আমাদের এলাকার মানুষ সচেতন হয়েছে। মানুষ এলাকার উন্নয়ন চায়। এ বছর পৌরসভার উন্নয়নের জন্য আমরা রফিকুল ইসলামকে দলমতের ঊর্ধ্বে মেয়র হিসেবে চাই। কারণ তার মধ্যে মানুষের সেবা, এলাকার উন্নয়ন করার মনোভাব রয়েছে।’ মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান সরকার যেভাবে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে বিগত সময়ে পৌরসভা হিসেবে আমাদের এলাকার কোনো উন্নয়ন হয়নি। আমি যদি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারি, কাঞ্চন পৌরসভার যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধান করে একটি আধুনিক পৌরসভা উপহার দেব। সমাজ থেকে অন্যায়, অবিচার, মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূল করব।’

সর্বশেষ খবর