খুলনার রেলওয়ে (জিআরপি) থানায় আটকের পর এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গঠিত রেলওয়ে পুলিশের তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরও ১৫ দিন সময় চেয়েছে। তদন্ত টিমের প্রধান ও কুষ্টিয়া সার্কেলের এএসপি ফিরোজ আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে অভিযুক্ত রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উছমান গণি পাঠানসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া নির্যাতনের মামলায়ও তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে এএসপি ফিরোজ আহমেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গতকাল তিনি মামলার বাদী ও পুলিশের দেওয়া মাদক মামলায় কারাগারে থাকা ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন করেছেন। গত শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে রেলওয়ে থানায় পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন, মামলা নং-০৩ (তাং ১০/০৮/১৯ইং)। কুষ্টিয়া সার্কেলের এএসপি ফিরোজ আহমেদ জানান, হাসপাতালে ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও সাক্ষ্যগ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। এ কারণে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৫ দিনের সময় চেয়ে রেলওয়ে পুলিশের কুষ্টিয়া সার্কেলের এসপি বরাবর আবেদন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ নির্ধারিত ছিল। প্রসঙ্গত, গত ২ আগস্ট রাতে ওই নারীকে আটকের পর জিআরপি থানার মধ্যে ওসিসহ ৫ পুলিশ সদস্য গণধর্ষণ ও মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ৩ আগস্ট মাদক মামলায় তাকে আদালতে পাঠালে সেখানে ধর্ষণের অভিযোগ জানালে আদালতের নির্দেশে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করান হয়।