শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্রেমের টানে নড়িয়াতে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রেমের টানে নড়িয়াতে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী

প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন মারদিয়ানা নামে এক ইন্দোনেশিয়ান তরুণী। মারদিয়ানা ইন্দোনেশিয়ার পালু বোরাদ এলাকার কাহারুদ্দিন ও মোলি দম্পতির মেয়ে। তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। জানা গেছে, মারদিয়ানার সঙ্গে ২০১৩ সালে ফেসবুকে পরিচয় হয় শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌরসভার লোনসিং গ্রামের মো. সেলিম খালাসীর সঙ্গে। পরে মারদিয়ানা ও সেলিমের মধ্যে ভাইবোনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই মধ্যে ২০১৬ সালে মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের চি বদ্দি গ্রামের কাজী এ টি এম দাউদের ছেলে কাজী আহমাদুল হোসেন রাজনের সঙ্গে প্রথমে ফেসবুকে পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব হয় মারদিয়ানার। পরে বন্ধুত্ব থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর সেই টানেই বাঙালি তরুণের কাছে ছুটে আসেন ইন্দোনেশিয়ান তরুণী মারদিয়ানা। মারদিয়ানার পাতানো ভাই সেলিম খালাসী বলেন, মারদিয়ানা আমাকে ধর্মের ভাই ডেকেছে। আমরা ভাইবোন। সম্পর্কটা আমার পরিবারও মেনে নিয়েছে। তিনি বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ান মুসলিম পরিবারের সন্তান মারদিয়ানার সঙ্গে মাদারীপুরের রাজনের পরিচয় হয়। তিনি আমাদের দেশ ও কৃষ্টি কালচার সম্পর্কে আমার কাছ থেকে জানেন। তাছাড়া রাজনের পরিবার সম্পর্কে সব কিছু জেনে গত ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন মারদিয়ানা। ৩০ এপ্রিল ঢাকা কোতোয়ালি কোর্ট হাউস স্ট্রিট বার ভবনে মারদিয়ানা-রাজনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর এক সপ্তাহ থেকে ইন্দোনেশিয়া চলে যান মারদিয়ানা। আবার ২১ আগস্ট রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন মারদিয়ানা। পরে বিকালে তাকে গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর নড়িয়া পৌরসভার লোনসিং নিয়ে আসি। গতকাল জাঁকজমকপূর্ণ সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমার বাড়ি নড়িয়া লোনসিং থেকে মারদিয়ানাকে রাজনের হাতে তুলে দিই। অনুষ্ঠানে নড়িয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী, নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মঞ্জুরুল হক আকন্দ, ওসি (তদন্ত) আবু বকর মিয়া, নড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র শহিদুল ইসলাম সরদারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। নড়িয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ি বলেন, প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী বাংলাদেশে চলে এসেছেন। নড়িয়াতে তাদের অনুষ্ঠানে এসে বেশ ভালো লাগল। নড়িয়াতে এই প্রথম এমন অনুষ্ঠানে যোগ দিলাম। দোয়া করি তাদের বিবাহিত জীবন সুখের হোক।মারদিয়ানা জানান, রাজনের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। রাজনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি। বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানিয়ে এসেছেন। এ দেশের মানুষের আতিথেয়তায় ও ভালোবাসায় মুগ্ধ বলেও জানান মারদিয়ানা।

সর্বশেষ খবর