বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামের টেন্ডারবাজসহ চিহ্নিতরা আতঙ্কে

গোয়েন্দা নজরদারিতে সাবেক যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতা কাউন্সিলরসহ অর্ধশতাধিক

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

ঢাকায় ক্যাসিনো, জুয়া, মাদক, টেন্ডারবাজির নিয়ন্ত্রকদের বিরুদ্ধে অভিযান এবং বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতারের পর চট্টগ্রামেও আতঙ্কে রয়েছেন টেন্ডারবাজসহ চিহ্নিতরা। গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন সাবেক যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা, কাউন্সিলরসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, যাদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে তাদের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার চিহ্নিতদের কীরকম যোগসূত্র রয়েছে এবং চট্টগ্রাম রেলওয়ের বিভিন্ন দফতর ও গণপূর্ত অধিদফতরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রক বা চিহ্নিত ঠিকাদারদের সঙ্গে কার কীরকম যোগসূত্র রয়েছে- সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সরকারের বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জুয়া, মাদক, টেন্ডার, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও কিশোর গ্যাংয়ের গডফাদারদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে। তালিকাও করা হচ্ছে এসব ব্যক্তিদের। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর করা  তালিকায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের পদবিধারী বর্তমান ও সাবেক নেতারা। সূত্র আরও বলছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আট কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ‘বড় ভাই’ নামের নেতারা আত্মগোপন করলেও তাদের সহযোগীরা এখনো রেলসহ বিভিন্ন দফতরে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। তারা সংগঠনের পদবি ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, রেলের জায়গা দখল, সরকারি জমি দখল, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন তৎপরতা চালাচ্ছেন।

অন্যদিকে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নও (র‌্যাব) তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম শহর এলাকার সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, কিশোর গ্যাংয়ের গডফাদার, অনুপ্রবেশকারী যারা দলীয় পদবি ব্যবহার করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করছে র‌্যাব।

র‌্যাব-৭-এর উপ-অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত জামিল ফাহিম বলেন, ‘র‌্যাব সদর দফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রামেও কাজ করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, কিশোর গ্যাংয়ের গডফাদার, সরকারদলীয় সংগঠনে অনুপ্রবেশকারী- যারা দলীয় পদবি ব্যবহার করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, তাদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তা ছাড়া চসিকের যেসব কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে তারাও নজরদারিতে রয়েছেন।’ জানা গেছে, এরই মধ্যে চট্টগ্রামে র‌্যাবের অভিযানে চকবাজার এলাকার যুবলীগ নামধারী সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাংয়ের গডফাদার নুর মোস্তফা টিনু ও তার এক সহযোগী গ্রেফতার হয়েছেন এবং আগ্রাবাদ এলাকার যুবলীগ পরিচয় দেওয়া সন্ত্রাসী খুরশিদ আলম ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। ফলে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বিভিন্ন এলাকায় প্রভাব বিস্তার করা ব্যক্তিরা গা-ঢাকা দিয়েছেন। তাদের কয়েকজন বিদেশেও পাড়ি জমিয়েছেন বলে গোয়েন্দাসূত্রে জানা গেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর