আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির নবম জাতীয় কাউন্সিল। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের খোলা চত্বরে কাউন্সিলের প্রথম পর্ব হবে। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে জি এম কাদের একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। মহাসচিব পদে পরিবর্তন আসতে পারে এমন আলোচনা রয়েছে। মহাসচিব পদে আসতে পারেন যাদের নাম আলোচিত হচ্ছে তারা হলেন- বর্তমান মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু। এ ছাড়া পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এবং রওশন এরশাদের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমামের নামও শোনা যায়। সারা দেশ থেকে কাউন্সিলর ও ডেলিগেট মিলিয়ে ৫০ হাজার প্রতিনিধির মিলনমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় পদে আসতে আগ্রহী নেতারা সম্মেলনের মূল প্যান্ডেলসহ বাইরের সড়কে নিজ নিজ অনুসারীদের নিয়ে ব্যাপক শোডাউন করে শক্তি প্রদর্শনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সব মিলিয়ে সম্মেলনকে ঘিরে ব্যস্ত নেতা-কর্মীরা। জানতে চাইলে পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, কাউন্সিলের আয়োজন দ্রুত এগিয়ে চলছে। টিমওয়ার্ক চেতনায় কাজ চলছে। আশা করি জাতিকে একটি বর্ণাঢ্য সম্মেলন উপহার দিতে পারবে জাতীয় পার্টি। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টি গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হবে। নেতৃত্ব প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় পার্টি কারও একক সম্পদ নয়। পার্টির চেয়ারম্যান মহাসচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য যে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে আহ্বায়ক এবং মহাসচিব মসিউর রহমানকে সদস্যসচিব করে ১০১ সদস্যের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করা হয়েছে। সম্মেলনে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, বিদেশি প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ সমাজের বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। এদিকে দল পরিচালনায় ভাই এইচ এম এরশাদের পথেই হাঁটতে যাচ্ছেন নতুন চেয়ারম্যান। গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, জাপার গঠনতন্ত্রে বিতর্কিত ধারা বলে পরিচিত ২০-এর ক ও খ উপধারা সম্মেলনে সংশোধন হচ্ছে না। ২০-এর ক ও খ উপধারায় চেয়ারম্যানের ক্ষমতা সম্পর্কে বলা আছে, ‘... চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির যে কোনো পদে যে কোনো ব্যক্তিকে নিয়োগ, যে কোনো পদ হইতে যে কোনো ব্যক্তিকে অপসারণ ও যে কোনো ব্যক্তিকে তাঁহার স্থলাভিষিক্ত করিতে পারিবেন।’ সম্মেলনে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরই নির্বাচিত হচ্ছেন প্রায় নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন দলের সভাপতিম লীর সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। তিনি বলেন, নেতা-কর্মীরা জি এম কাদেরের প্রতি আস্থাশীল। আর সিনিয়র কো. চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন বেগম রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, এবারের সম্মেলন হবে ঐতিহাসিক। এদিকে মহাসচিব পদে পরিবর্তন নিয়ে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর মধ্যে বেশ গুঞ্জন রয়েছে। জাপার একটি অংশ বর্তমান মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাকে মানতে নারাজ। অপর একটি অংশ সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে পদে ফিরিয়ে আনতে তৎপরতা শুরু করেছে। আরেক সাবেক মহাসচিব জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলুও মহাসচিব হতে চান বলে গুঞ্জন রয়েছে। এদিকে কাউন্সিলের মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকলেও এখনো বাকি রয়েছে অনেক জেলা সম্মেলন।
শিরোনাম
- সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
- সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
- গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
- আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
- ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
- ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
- বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
- হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত
- নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার
- ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব
- বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
- ৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর
- ‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?
- টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার
- পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
- বাংলাদেশের কাল ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ