শুক্রবার, ৩ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

৩৫ লাখ নির্মাণশ্রমিক বিপদে প্রয়োজন নীতিসহায়তা

-প্রকৌশলী এম এ আউয়াল

৩৫ লাখ নির্মাণশ্রমিক বিপদে প্রয়োজন নীতিসহায়তা

করোনাভাইরাসের প্রভাবে আবাসন খাতের অবস্থা খুবই খারাপ মন্তব্য করে এ শিল্প বাঁচাতে সরকারের কাছে নীতিসহায়তা চেয়েছেন আবাসনশিল্প মালিকদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-রিহ্যাবের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী এম এ আউয়াল। তিনি বলেছেন, চলমান পরিস্থিতিতে আবাসন ও কনস্ট্রাকশন মিলিয়ে প্রায় ৩৫ লাখ নির্মাণশ্রমিক এখন সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন। এ শিল্প আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে নীতিসহায়তার বিকল্প নেই। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আবাসন ও কনস্ট্রাকশন শিল্পের সঙ্গে রড, সিমেন্ট, সিরামিক, রংসহ অনেক শিল্প খাত জড়িত। আসলে আমরা এখনো জানি না কীভাবে করোনাভাইরাসের এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটবে। মনে হচ্ছে, আবাসনশিল্পে আরও ধাক্কা আসবে। কবে নাগাদ এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটবে, তার উপায় এখন দেখছি না। দি স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড বা সেল-এর কর্ণধার এম এ আউয়াল বলেন, এ অবস্থায় আমাদের আবাসন খাতকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সরকারকে নজর দিতে হবে। আবাসন খাত পদে পদে যেসব হয়রানির শিকার হচ্ছে, তা থেকে পরিত্রাণ দেওয়াটা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। প্রকল্প অনুমোদনের সব প্রক্রিয়া সহজীকরণ করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা আবাসনশিল্পের উদ্যোক্তারা চাপের মধ্যে আছি। এ চাপ মোকাবিলায় সরকারের নীতিসহায়তা প্রয়োজন। চাই কর প্রণোদনাও। এগুলো সরকার ইতিবাচকভাবে দেখলেই ঘুরে দাঁড়াবে আবাসন খাত। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিপদগ্রস্ত নির্মাণশ্রমিকরাও রক্ষা পাবেন। কারণ, সাধারণ ছুটির আগে তাদের আমরা ধরে রাখতে পারিনি। তারা সবাই গ্রামে চলে গেছেন।

গ্রামে এখন কোনো কাজ নেই। ফলে গ্রামে গিয়ে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন নির্মাণশ্রমিকরা। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় আছি আমরা। প্রায় ৩৫ লাখ নির্মাণশ্রমিকের ভাগ্য এখন অনিশ্চিত।

সর্বশেষ খবর