গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তের হার আরও কমে ১৪ দশমিক ৭৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে ১৩ হাজার ৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৯২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ যা গত সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত এক দিনে মৃত্যু হয়েছে আরও ২৯ জনের। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ৬১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনায় সংক্রমিত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ৪ হাজার ৪১২। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৬ লাখ ৫ হাজার ১১১টি। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২১১। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ১৬ হাজার ১৯১। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় গত এক দিনে শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ দশমিক ০৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৭ দশমিক ২২ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ২২ জন পুরুষ ও সাতজন নারী। ২৭ জন হাসপাতালে ও দুজন বাড়িতে মারা গেছেন। এর মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ছিলেন ১৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন এবং একজনের বয়স ছিল ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। মৃত ২৯ জনের মধ্যে ১৪ জন ঢাকা, চারজন রাজশাহী, তিনজন বরিশাল ও দুজন করে ময়মনসিংহ, রংপুর, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের বাসিন্দা। এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ পুরুষ ও ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ নারী। গতকাল দুপুর পর্যন্ত সারা দেশের কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের ১৪ হাজার ৪৭৪টি সাধারণ শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি ছিল ৩ হাজার ৮১০টিতে। ৫৫০টি আইসিইউর শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি ছিল ৩১৩টিতে। প্রায় ৯৬ শতাংশ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বাড়িতে।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো আরও তথ্য-
বগুড়া : নতুন করে আরও ৪৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় ৬ হাজার ৮৪৬ জনের করোনা শনাক্ত হলো।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ, ১২ জন নারী ও ছয়জন শিশু। জেলায় এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৮০১। করোনায় আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। গাজীপুর : গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গাজীপুরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলো ৫ হাজার ৮১। এ পর্যন্ত জেলায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ১৭০। মোট মারা গেছেন ৬২ জন।