শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

নরসিংদীতে ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

নরসিংদী প্রতিনিধি

দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে রায়পুরা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদুল হক চৌধুরী শাকিলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হয়েছে।

পুলিশ ও নির্যাতিতার পারিবারিক সূত্র থেকে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নবীয়াবাদ গ্রামে ওই স্কুলছাত্রীকে বাড়ি থেকে রাজু অডিটোরিয়ামে ডেকে নিয়ে আসে শাকিল। রাত ১১টার দিকে তাকে ধর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। ছাত্রলীগ নেতা তখন পালিয়ে যান। পরে ৯৯৯ নম্বরে কল করে বিষয়টি অবগত করা হলে রায়পুরা থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

ভিকটিমের বাবা জানান, তার মেয়ের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা শাকিল। তিনি এর উপযুক্ত বিচার চান।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসিন কাদির বলেন, নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রলীগ নেতাসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

নোয়াখালীতে যুবদল নেতা গ্রেফতার : নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ডিভোর্স হওয়া এক নারীকে (২১) বিয়ের প্রলোভন ও বাবার সম্পত্তি উদ্ধার করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় চরফকিরা ইউনিয়ন যুবদল নেতা রুহুল আমিন হেলালকে (৩২) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গতকাল বিকালে আসামি হেলালকে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। হেলাল  চরফকিরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দীল মোহাম্মদ হাফেজ বাড়ি ওরফে মুনছুর আলী মাঝি বাড়ির মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিক মাস্টারের ছেলে এবং চরফকিরা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক।

মামলার এজহারে ওই নারী জানান, তিনি ডিভোর্স হওয়ার পর বাবার বাড়িতে চলে এলে চাচা-চাচিরা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ওই সুযোগে হেলাল তাকে বাবার বাড়ির সম্পত্তি উদ্ধার করে দেওয়া এবং বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে কৌশলে বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের খুরশিদ মঞ্জিলের ভাড়া বাসায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই নারী তাকে বিয়ের কথা বললে সে তালবাহানা শুরু করে।

স্থানীয়রা জানান, ২০০১ সালে তৎকালীন জোট সরকারের আমলে দলীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চরফকিরা ইউনিয়নে দুর্ধর্ষ বিচ্ছু বাহিনী গড়ে ওঠে। হেলাল ওই বিচ্ছু বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন। তার নেতৃত্বে চরফকিরা ইউনিয়নসহ আশপাশের চরাঞ্চলে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল। সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন ছিল তার নিত্য পেশা ও নেশা। কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, নির্যাতিতার মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত যুবক হেলালকে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়। পরে ওই নারীর মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর