বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ল্যাবরেটরিতে তৈরি মুরগির মাংস

প্রতিদিন ডেস্ক

ল্যাবরেটরিতে তৈরি মুরগির মাংস

আর মুরগি মেরে মাংস নয়, এবার ল্যাবরেটরিতেই তৈরি হচ্ছে মুরগির মাংস। এরই মধ্যে এই মাংস বাজারেও চলে এসেছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের স্টার্ট-আপ ‘ইট জাস্ট’ গবেষণাগারে তৈরি মুরগির মাংস বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে সিঙ্গাপুর। রয়টার্স। ‘ইট জাস্ট’ বলছে, বিশ্বে প্রথম পরিষ্কার মাংস হিসেবে নিয়ন্ত্রকদের অনুমতি পেল তারা। এ মাংস কোনো প্রাণীকে হত্যা করে প্রস্তুত করা হয় না। গতকাল ইট জাস্ট বলেছে, নিরাপদ ব্যবহারের জন্য সরাসরি প্রাণীর কোষ থেকে তৈরি সত্যিকারের, উচ্চ মানের মাংস বিশ্বে প্রথম অনুমোদন দিল সিঙ্গাপুর। এতে দেশটিতে এ মাংস স্বল্প আকারে বাজারে আনার পথ খুলে গেল। ইট জাস্ট বলছে, তাদের মাংস নাগেট হিসেবে বিক্রি করা হবে এবং আগে প্রতিটির দাম ছিল ৫০ ডলার। তবে এখন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী জস টেটরিক বলেন, দাম কমে আসবে এবং সিঙ্গাপুরের বাজারে আসার সময় প্রিমিয়াম মুরগির সমান দামে পাওয়া যাবে। খবরে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য, প্রাণীকল্যাণ এবং পরিবেশ সম্পর্কে ভোক্তাদের উদ্বেগের কারণে প্রাণীর মাংসের বিকল্পের চাহিদা বাড়ছে। উদ্ভিদভিত্তিক মাংসের বিকল্পগুলো এরই মধ্যে সুপার মার্কেটের এবং রেস্তোরাঁর মেন্যুতে চলে আসতে শুরু করেছে। বিয়ন্ড মিট ইনকরপোরেশন ও ইমপসিবল ফুডসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের মাংস জনপ্রিয় করে তুলছে। তবে ক্লিন বা কালচারড মাংসের বিষয়টি এখনো প্রাথমিক অবস্থায় আছে। এ ধরনের মাংস সাধারণ পরীক্ষাগারে প্রাণীর পেশিকোষ কালচার কওে তৈরি করা হয়। তবে এর উৎপাদন খরচ বেশি বলে এখনো তা জনপ্রিয় হয়নি।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিশ্বে দুই ডজনের বেশি প্রতিষ্ঠান পরীক্ষাগারে মাছ, গরু ও মুরগির মাংস নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে। বিকল্প মাংসের বাজারে তারা সাড়া ফেলবে বলে আশা করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৯ সাল নাগাদ বিকল্প মাংসের বাজার দাঁড়বে ১৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

সর্বশেষ খবর