করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাবেক মন্ত্রী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল দুপুর সোয়া ১টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও চার মেয়ে রেখে গেছেন। কামাল ইবনে ইউসুফের মৃত্যুর খবরে বিএনপিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। এ ছাড়া তাঁর নিজ এলাকা ফরিদপুরে এ সংবাদ পৌঁছলে সর্বস্তরের মানুষ শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা জানান, এক সপ্তাহ ধরে এভারকেয়ারে কামাল ইবনে ইউসুফকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল। এ দিকে ফরিদপুর সদর পৌরসভা নির্বাচনে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন তাঁর মেয়ে মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। আজ বৃহস্পতিবার ফরিদপুর-সদর পৌরসভার ভোট গ্রহণ করা হবে। বিএনপির দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল বাদ এশা গুলশান আজাদ মসজিদে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মরহুমের মরদেহ রাজধানীতেই একটি হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়। শুক্রবার বিকাল ৩টায় ফরিদপুরে রাজেন্দ্র সরকারি কলেজ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর বাবার কবরের পাশে শায়িত করা হবে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৯ নভেম্বর চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ২২ নভেম্বর করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ শনাক্ত হয়। সাবেক মন্ত্রী কামাল ইবনে ইউসুফের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁরা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং পাশাপাশি শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, ২০-দলীয় জোট, ড্যাব, বাংলাদেশ ন্যাপ পৃথক বিবৃতি জানিয়ে শোক প্রকাশ করে। এ ছাড়া ফরিদপুরের নেতাদের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাহবুবুল ইসলাম ভুইয়া, সাবেক এমপি শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দেন।