আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মেয়র প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী ইশতেহার ও নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়া শুরু করেছেন। পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীরাও নিজ এলাকায় প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নিয়ে প্রচারণায় নেমেছেন। ফলে শীতাচ্ছন্ন নগরে নির্বাচনী আমেজ কিছুটা হলেও এনে দিয়েছে উষ্ণতা। প্রার্থীদের নিজস্ব এবং দলীয় অনুসারীরা চসিক নির্বাচন ঘিরে কষতে শুরু করেছেন জয়-পরাজয়ের অঙ্ক। চায়ের টেবিল থেকে অফিসের চার দেয়ালের ভিতর সর্বত্রই এখন নির্বাচন নিয়ে আলাপে মত্ত নগরবাসী। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে অতিরিক্ত জটলা বা নির্বাচনী মিছিল-সমাবেশ বন্ধ রয়েছে। প্রার্থীরা উঠান-বৈঠক ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত ওয়ার্ডভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেছেন। সাধারণ ভোটারদের কাছে গিয়েও তারা নিজেদের দলীয় প্রতীকে ভোট চাইছেন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের পাশাপাশি ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফন্ট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থীদেরও প্রচার চালাতে দেখা যাচ্ছে মাঝেমধ্যে। এদিকে চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন দুজনই দলীয় পদবিধারী রাজনীতিক হওয়ায় সার্বক্ষণিক নেতা-কর্মীতে বেষ্টিত হয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। দুই দলের নেতা-কর্মীরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও সাধারণ ভোটার যারা, তাদের বক্তব্যে নানা মেরূকরণের কথা উঠে আসছে। নির্বাচন ঘিরে একপক্ষ মনে করছে, আওয়ামী লীগ গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী যে উন্নয়ন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে তাদের মনোনীত প্রার্থীই জয়লাভ করবেন। কারণ ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী নির্বাচিত হলে নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে- এটাই তাদের ধারণা। অন্য একটি পক্ষ মনে করছে, সুষ্ঠু স্বাভাবিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হবেন। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে সর্বদলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে পারলে বিএনপির প্রার্থীই জয়লাভ করবেন বলে তাদের বিশ্বাস। এবারের নির্বাচনী আলোচনায় আরও একটি দিক উঠে এসেছে, সেটি হচ্ছে দুই মেয়র প্রার্থীর নির্বাচন নিয়ে অভিজ্ঞতার বিষয়। বিএনপি সমর্থিতরা মনে করেন, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন গত সংসদ সদস্য নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। এ ছাড়া তিনি পেশাজীবী নেতা হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। অন্যদিকে নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরীর এটাই প্রথম নির্বাচন। ফলে সাধারণ মানুষের মানসিক অবস্থান সম্পর্কে জানা ও বোঝা তার জন্য কিছুটা কঠিন হবে বলে মনে করছে একটি মহল। এসব যুক্তি-তর্কের মধ্যে চলছে নির্বাচনী আলোচনা। সবার একটি প্রশ্ন ও কৌতূহল- কে হবেন আগামী দিনের চট্টগ্রামের নগরপিতা। এদিকে মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও অন্যান্য দলের সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীরাও নতুন করে প্রচারে নেমেছেন। চসিক নির্বাচন স্থগিত হওয়ার আগে এক দফা জোর প্রচার চালিয়ে এগিয়ে থাকা কাউন্সিলর প্রার্থীরা আবারও সরব হয়ে উঠেছেন।
শিরোনাম
- সৌদি যুবরাজকে বন্ধু বললেন ট্রাম্প
- দিনাজপুরে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের মাঝে সঞ্চয়পত্র বিতরণ
- বাগেরহাটে ভারতীয় নাগরিককে এনআইডি দেওয়ার অভিযোগ, দুদকের মামলা
- রাতের আঁধারে কুপিয়ে জখম, আরো একজন মারা গেছেন
- ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিষয়ে নাক গলাতে চান না রাহুল গান্ধী
- পেছাচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ
- পাকিস্তানে হামলা: কাশ্মীর নিয়ে নতুন করে কঠিন চাপে ভারত
- ঢাকার মূল সড়কে কোনো রিকশা চলতে পারবে না : ডিএনসিসি প্রশাসক
- কোম্পানীগঞ্জে প্রবাসীর ওপর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ
- গুচ্ছ ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
- কেন মধ্যপ্রাচ্য দিয়ে বিদেশ সফর শুরু করলেন ট্রাম্প?
- টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের স্কোয়াড দিল দক্ষিণ আফ্রিকা
- সৌদি আরবের সাথে ‘১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি’ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের
- পুশইন করা ৭৫ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর, ৩ ভারতীয়কে আদালতে প্রেরণ
- নাগরপুরে ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী গ্রেফতার
- রাজশাহী নার্সিং কলেজে দু’পক্ষের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ১০
- ভারতের সাথে সংঘর্ষে ১১ সেনাসহ ৫১ জন নিহত : পাকিস্তান সেনাবাহিনী
- মাদারীপুরে হাসপাতালের দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের অভিযান
- ২০২৭ বিশ্বকাপে দেখা যাবে না রোহিত-কোহলিকে
- ১ কোটি ১০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল কিনবে সরকার