শুক্রবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

৩৬৪ আসন ফাঁকা নিয়ে লন্ডন থেকে বিমান সিলেটে

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

মহামারী করোনাভাইরাসে টালমাটাল যুক্তরাজ্য। প্রতিদিন অর্ধ লাখেরও বেশি মানুষ দেশটিতে আক্রান্ত হচ্ছে অদৃশ্য এ ভাইরাসে। মারাও যাচ্ছে শত শত। এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য থেকে প্রায় নিয়মিতই প্রবাসীরা দেশে আসছেন। এদের বেশির ভাগই সিলেট অঞ্চলের বাসিন্দা। প্রবাস থেকে আসা এসব যাত্রীকে বহন করতে গিয়ে লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে। ২৯৮ আসনের বিমানের বোয়িং টানা দুটি ফ্লাইটে অর্ধশতেরও  কম যাত্রী নিয়ে ফিরেছে। দেশে এলে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে এ পরিপ্রেক্ষিতেই আগ্রহীরা ফ্লাইটের বুকিং বাতিল করছেন। সর্বশেষ লন্ডন থেকে গতকাল মাত্র ৩৪ জন যাত্রী নিয়ে বিমানের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ওই ফ্লাইটের ২৬৪ আসনই ছিল খালি। ফ্লাইটে আসা সিলেটের ২৮ জনকে বিমানবন্দরে নামার পর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঢাকার ছয়জন নিয়ে ফ্লাইটটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে সেখান থেকে ওই যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিংহভাগ আসন শূন্য নিয়ে ফেরায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে বড় অঙ্কের লোকসান গুনতে হচ্ছে। জানা গেছে, সপ্তাহের প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার লন্ডন থেকে বিমানের ফ্লাইট আসে সিলেটে। করোনা মহামারীর মধ্যে ২৪ ও ২৮ ডিসেম্বর ২০২ জন করে এবং ৩১ ডিসেম্বর ২৩৭ জন যাত্রী নিয়ে সিলেটে আসে বিমানের ফ্লাইট।

এরপর ৪ জানুয়ারি মাত্র ৪৭ জন যাত্রী নিয়ে ফ্লাইট আসে। এ চার ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের মধ্যে যথাক্রমে ১৬৫, ১৪৪, ২০২ ও ৪১ জন ছিলেন সিলেটের। বাকিরা যান ঢাকায়। সূত্র জানায়, গতকালের ফ্লাইটে আসার জন্য বিমানের আসনসংখ্যা ২৯৮-এর বিপরীতে প্রায় সমসংখ্যক যুক্তরাজ্য প্রবাসী দেশে ফেরার টিকেট কেটেছিলেন। কিন্তু দেশে ফিরলে ১৪ দিন সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাধ্যতামূলকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে, এ কারণে অনেক প্রবাসী ফ্লাইটের বুকিং বাতিল করেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সিলেট অফিসের ব্যবস্থাপক শাহনেওয়াজ মজুমদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দেশে আসার জন্য বিমানের প্রায় সব আসনই বুকড ছিল। কিন্তু দেশে এলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এ কারণে বেশির ভাগ যাত্রীই বুকিং বাতিল করেন।’ সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ বলেন, গতকাল ৩৪ জন যাত্রী নিয়ে বিমানের ফ্লাইট সিলেটে এসেছিল। এর মধ্যে সিলেটে নামেন ২৮ জন। বাকিরা যান ঢাকায়। যাত্রীদের সবার করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট ছিল। এর পরও বিমানবন্দরে শারীরিক পরীক্ষার পর তাদের বাসযোগে কোয়ারেন্টাইনের জন্য নির্ধারিত হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর