শিরোনাম
বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
বাংলাদেশ ব্যাংকের ইডিকে ভর্ৎসনা

পিপলস লিজিংয়ের খেলাপিরা হাজির না হলে গ্রেফতার করে আনা হবে : হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (ইডি) শাহ আলমকে ভর্ৎসনা করেছে হাই কোর্ট। একই সঙ্গে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ৫ লাখ টাকা ও তার বেশি ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া ব্যক্তিরা তলবে হাজির না হলে প্রয়োজনে গ্রেফতার করে আনা হবে বলেও জানিয়েছে আদালত। গতকাল এ সংক্রান্ত শুনানিতে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাই কোর্ট বেঞ্চ এসব মন্তব্য করে। এর আগে গতকাল সকালে পিপলস লিজিং থেকে ৫ লাখ টাকা ও তার বেশি অর্থঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া ৫১ ব্যক্তি হাই কোর্টে হাজির হন। মোট ২৮০ জনের মধ্যে এদিন ১৪৩ জনকে হাজির হতে আদেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট।  অন্যরা নির্ধারিত দিনে উপস্থিত না হওয়ায় আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এ সময় হাই কোর্ট বলে, আজ (গতকাল) যারা উপস্থিত হননি, তারা হাজির হওয়ার জন্য আর একবার সুযোগ পাবেন। তারা যদি হাজির না হন প্রয়োজনে তাদের গ্রেফতার করে আদালতে আনা হবে। আদালত শুনানির এক পর্যায়ে বলে, ‘পি কে হালদার এবং এস কে সুর যে আকাম-কুকাম করছে সেটা তো আছেই। আমরা দেখছি কোনোভাবে এই কোম্পানিকে বাঁচিয়ে রেখে টাকা উদ্ধার করা যায় কি না।’ হাই কোর্ট বলে, আমানতকারীরা আজকে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। আমরা ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করার চেষ্টা করছি। একটি কোম্পানি অবসায়ন করতে হলেও তার একটা প্রক্রিয়া আছে। আমরা সেটাও দেখছি। একটা পথ বের করার চেষ্টা করছি।

গত ২১ জানুয়ারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ৫ লাখ টাকা ও তার বেশি অর্থঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া ২৮০ ব্যক্তিকে তলব করে হাই কোর্ট। ২৩ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি তাদের পর্যায়ক্রমে আদালতে হাজির ও ঋণ পরিশোধের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে বলা হয়। আদালতের আদেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার ১৪৩ জন ঋণ খেলাপির হাজির হওয়ার কথা ছিল।

অবসায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিকুইডেটর) মো. আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে আদালতে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম।

গত বছরের নভেম্বরে এক আদেশে কোম্পানি আদালত পিপলস লিজিংয়ের ঋণগ্রহীতাদের তালিকা দাখিল করতে আদেশ দেয় বলে জানান আইনজীবী মেজবাহুর রহমান। তিনি বলেন, এ অনুসারে ঋণগ্রহীতা ৫০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা গত বছরের ২৩ নভেম্বর আদালতে দাখিল করা হয়। ওই ঋণগ্রহীতাদের তালিকা থেকে ৫ লাখ টাকা ও তার বেশি অর্থঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া ২৮০ জনকে কারণ দর্শাতে বলেছে আদালত। গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণসহ ২৮০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে পিপলস লিজিংয়ের পাওনা ১ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকার বেশি বলে জানান মেজবাহুর রহমান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর