সনু বাবুর দুই ছেলে। ভাড়া থাকেন ঢাকার অদূরে সাভারের তেঁতুলঝোড়া এলাকায়। বড় ছেলে জয়ের বয়স সাত বছর, ছোট ছেলে জয়ন্তের বয়স ৩ বছর। সকালে বাসার সামনে খেলছিল জয়ন্ত। ১০টার পর আশপাশের কোথাও আর তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন সনু বাবু একই বাড়ির ভাড়াটে আল আমিনকে নিয়ে পুরো এলাকায় মাইকিং করে বেড়ান। কিন্তু সন্ধ্যার পরও জয়ন্তের কোনো খোঁজ পাওয়া যায় না। পরে রাতে জয়ন্তের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তার বাবা সাভার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এ ঘটনা তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয় সাভার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজগার আলীকে। ঘটনাটি ২০১৮ সালের জুন মাসের। রাত পৌনে ১০টায় সনু বাবুর মোবাইলে ফোন আসে। ‘আপনার ছেলে আমাদের কাছে আছে, বিকাশ করলে আপনার ছেলেকে ফেরত পাবেন, তা না হলে আপনার ছেলের ক্ষতি হবে।’ পরদিন ২ জুলাই অপহরণকারীদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ৭ হাজার টাকা পাঠান জয়ন্তের বাবা সনু বাবু। মুক্তিপণ দাবি করার পর পুলিশ কর্মকর্তা (ছদ্মবেশে) আজগার আলী নিজেকে জয়ন্তের বাবার মামা পরিচয় দিয়ে জয়ন্তদের বাড়িতে যান। আল আমিন তখন বলছিলেন, অপহরণকারীদের টাকা দিলে জয়ন্তকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব। আল আমিনের আচরণ সন্দেহজনক হলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে বেরিয়ে আসে খুনের রহস্য। তিন বছরের শিশু জয়ন্ত নিখোঁজ হওয়ার পর তার খোঁজে মাইকিং করতে গিয়ে কেঁদে ফেলে আল আমিন। শিশুটির মা-বাবাকে আশ্বাস দেয়, জয়ন্তকে নিশ্চয়ই খুঁজে পাওয়া যাবে। জয়ন্তকে নৃশংসভাবে খুন করার চার দিন পর সন্দেহভাজন খুনির নাটকীয় অভিনয়ের বিষয়টি পুলিশের তদন্তে ধরা পড়ে। এ খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্দেহভাজন খুনি হিসেবে আল আমিন (১৮) ও নাছির শেখকে (২৬) গ্রেফতার করেছে সাভার থানা পুলিশ। আল আমিন ঢাকার আদালতে জয়ন্তকে খুন করার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আর নাছির শেখকে চার দিন পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত। পুলিশ বলেছে, আল আমিন তার খালাতো বোনের স্বামী নাছিরকে নিয়ে জয়ন্তকে হত্যা করে। পরে আল আমিন ফোন করে জয়ন্তের বাবার কাছে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায়। জয়ন্তকে কেন খুন করা হয়, সে ব্যাপারে এসআই আজগার বলেন, নাছির শেখ এলাকায় রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। আর আল আমিন বেকার। কিছুই করত না। টাকা আদায় করার জন্য জয়ন্তকে অপহরণ করে তারা। জয়ন্তের মা-বাবা দুজনে সাভারের গার্মেন্টে চাকরি করেন। জয়ন্তের বাবা সনু বাবু বলেন, ’আমরা কল্পনাও করিনি যে, আল আমিন আমার ছেলে জয়ন্তকে অপহরণ করতে পারে, খুন করতে পারে। জয়ন্তকে যখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন আল আমিন মাইকিং করেছে। জয়ন্তকে খুঁজে পাওয়ার জন্য নানা পরামর্শ দিয়েছে। অথচ আল আমিনই আমার নিষ্পাপ ছেলেকে নির্মমভাবে খুন করেছে।
শিরোনাম
- সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
- ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
- ‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
- চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
- রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান
- ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
- গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল
- সাজা মওকুফ হওয়ায় মুক্তি পেলেন যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া ১৩ আসামি
- মঙ্গলবার থেকে আমদানি-রফতানির সব সনদ অনলাইনে জমা বাধ্যতামূলক
- ‘জনগণের ভাষা বুঝতে পেরে দ্রুত সময়ে নির্বাচনের ঘোষণা সরকার’
- এবার নিউইয়র্কের তহবিল বন্ধের হুমকি দিলেন ট্রাম্প
- স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘মমতা’ প্রকল্প বন্ধের খবরে দুশ্চিন্তায় চরাঞ্চলের প্রসূতিরা
- ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করেছে সরকার
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
- বিএম কলেজের প্রশাসনিক ভবনে তালা
- আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’
- দল নিবন্ধন : আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্বে ইসির ৭ কর্মকর্তা
- বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মতবিনিময় সভা
ঘরেই ছিল খুনি
মির্জা মেহেদী তমাল
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর