বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

কোম্পানীগঞ্জের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কোম্পানীগঞ্জে বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের পরিচয় না দেখে আইনের আওতায় আনা হবে। গতকাল বিকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশের আইজিপি, র‌্যাবের ডিজি, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। আইন সমানভাবে প্রযোজ্য, ইতিমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে, অভিযান চলছে। শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনকে কারও অপকর্মের জন্য ম্লান হতে দিতে পারি না, এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দুঃখজনক ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট এলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বেশ কিছুদিন থেকে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট এলাকায় জনজীবন অস্থিরতা বিরাজ করছিল। সরকার এখন কঠোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করছে, তাই আশা করা হচ্ছে শিগগিরই জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে। কোম্পানীগঞ্জের জনগণকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ধৈর্য ধারণ এবং সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, প্রাণঘাতী সংঘর্ষে একজন দলীয় কর্মী নিহতের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি নিহত আলাউদ্দিন ও এর আগের ঘটনায় সাংবাদিক মোজাক্কিরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন ও তাদের পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানান। ব্রিফিংকালে বিএনপি মহাসচিবের একটি বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ৭ মার্চের আলোচনা সভায় নাকি ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যাচার করেছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাচার করেননি বরং জাতির সামনে ইতিহাসের প্রমাণিত সত্য তুলে ধরেছেন। বিএনপি কখনো সত্য শুনতে চায় না, তাই ঐতিহাসিক সত্য প্রকাশে বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়েছে।

জিয়াউর রহমান নাকি ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হতো না, বিএনপি মহাসচিবের এমন অসত্য মন্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, মহাসচিবের এই বক্তব্যও স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির শামিল। এ ধরনের মিথ্যাচার বিএনপির রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ। বিএনপি জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রাণান্ত অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা আর ঘোষণা পাঠ করা এক কথা নয়। পাঠক কখনো ঘোষক হতে পারে না। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান, বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণা পাঠকারীদের মধ্যে একজন।

সর্বশেষ খবর